• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে জয়ের বিকল্প নেই

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৪  

প্রায় দেড় বছর ধরে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ইতিহাস জানাচ্ছে, ২০২২ সালের জুলাই-আগস্টে জিম্বাবুয়ের মাটিতে সর্বশেষ ১-২ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টিতে শেষবারের মতো সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। মাঝের সময়টায় টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে শতভাগ সাফল্য ছিল টাইগারদের।

এই সময় আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের কেউ হারাতে পারেনি টাইগারদের। আরব আমিরাতের বিপক্ষে (২০২২ সালে) তাদেরই মাটিতে ২-০ ব্যবধানে, গেল ২০২৩ সালের মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ তে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ এ এগিয়ে আর ২০২৩ সালের জুলাইতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।

এবার ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। যদিও মাহমুদউল্লাহ ও অভিষিক্ত ব্যাটার জাকের আলির অনিকের ব্যাটে অবিশ্বাস্য লড়াই করেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

তরুণ মিডলঅর্ডার জাকের আলি আর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বুক চিতানো ব্যাটিংয়ের পরও এই ম্যাচে ৩ রানের হারই সঙ্গী থেকেছে বাংলাদেশের। এক হারেই সিরিজ পরাজয়ের শঙ্কা জেগেছে। সিরিজ জেতার চেয়ে আপাতত সিরিজ বাঁচানোই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

সিরিজ জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে বুধবার (৬ মার্চ) দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের জয়ের বিকল্প নেই। তাই বুধবারের ম্যাচটি টিম বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয় হলো- প্রথম ম্যাচের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্স আর হারের ঘা সামলে কি জয়ের পথ খুঁজে পাবে বাংলাদেশ?

সোমবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে জাকের আলির আর মাহমুদউল্লাহদের ব্যাট থেকে এক জোড়া দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি বেরিয়ে আসলেও টিম পারফরম্যান্স কিন্তু ভালো হয়নি। বল ও ব্যাট হাতে আর কেউ জ্বলে উঠতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ আর জাকেরের ব্যাটিংটা বাদ দিলে শান্তর দলের পারফরম্যান্স জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।

প্রথম সেশনে বোলাররা হতাশ করেছেন। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন (৪ ওভারে ১/৩২) ছাড়া তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম , মোস্তাফিজুর রহমান ও অফস্পিনার শেখ মেহেদি ছিলেন প্রচণ্ড খরুচে। তারা না পেরেছেন রান নিয়ন্ত্রণে রাখতে, না পেরেছেন উইকেটের পতন ঘটাতে।
তাই মাত্র ৪ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পরও লঙ্কানরা ২০৬ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে ফেলেছে।

সেই লক্ষ্য টপকে যেতে যে ব্যাটিংটা দরকার ছিল রিয়াদ ও জাকের ছাড়া আর কেউ তা পারেননি। ৪ টপঅর্ডার লিটন দাস (০), সৌম্য সরকার (১২), নাজমুল হোসেন শান্ত (২০) আর তাওহিদ হৃদয় (৮) ব্যর্থ হলে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। তারপর রিয়াদ ও জাকের প্রাণপণ চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত ব্যবধান মাত্র ৩ রান হলেও এটি ভাবার কোনো অবকাশ নেই যে, শ্রীলঙ্কার খুব কাছেই ছিল বাংলাদেশ। রিয়াদ ও অনিকের ব্যাটিংটা বাদ দিলে টিম পারফরম্যান্স লঙ্কানদের ধারে কাছেও যায়নি। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে হলে দরকার ব্যাটিং ও বোলিংয়ে উন্নত পারফরম্যান্স এবং দল হয়ে খেলা। বিচ্ছিন্ন একটি বা দুটি ইনিংস দল জেতাতে পারবে না।

সেই টিম পারফরম্যান্স কি হবে? সিলেটে সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে বাংলাদেশ কি দল হয়ে খেলতে পারবে? সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া শুরু হবে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে।

ঝালকাঠি আজকাল