• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

নামাজ যেভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন গঠনের উপায়

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২০  

নামাজ ইসলামের প্রধান ইবাদত। পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে দ্বিতীয়। শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন গঠনে জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের বিকল্প নেই। আল্লাহর সামনে আনুগত্য ও বিনয় প্রকাশের শ্রেষ্ঠ মাধ্যমও নামাজ। এ আনুগত্য ও বিনয়ের মাধ্যমেই আল্লাহর সঙ্গে বান্দার একান্ত সুসম্পর্ক তৈরি হয়। দুনিয়ার যাবতীয় অশ্লীলতা ও গর্হিত কাজ থেকেও বিরত থাকে মুমিন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল ও ফাহেশা কাজ থেকে বিরত রাখে।’

জামাআতে নামাজ পড়ার গুরুত্ব শুধু হাদিসেই আসেনি বরং কুরআনুল কারিমের নির্দেশও এমনই। কেননা জামাআতে নামাজ আদায় মানুষকে শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, কর্তব্যপরায়ণসহ বহু গুণে সমৃদ্ধ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক এবং সাম্য গড়ে তোলে।

এ কারণেই ফরজ নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন-
‘তোমরা রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু কর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৪৩)

এ আয়াতের মাধ্যমে ফরজ নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কুরআনের নির্দেশ, প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণে জামাআতে নামাজ পড়ায় রয়েছে অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত। হাদিসের বর্ণনায় তা উঠে এসেছে-

- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘একাকি নামাজ আদায় করার চেয়ে জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায় করলে ২৭গুণ বেশি সাওয়াব হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)

জামাআতে নামাজ আদায়কারীকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুবই পছন্দ করতেন। জীবনে তিনি কখনো জামাআত ত্যাগ করেননি। আবার কেউ জামাআতে না আসলেও তিনি তাদের খোঁজ-খবর নিতেন। জামাআতে উপস্থিত না হলে তিনি খুবই অসন্তুষ্ট হতেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে নির্ধারিত সময়ের প্রতি গুরুত্ব, পরস্পরের আন্তরিকতাবোধ, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ়, শৃঙ্খলাবোধ শেখাতে, ধনি-গরিব ও সাদা-কালোর পার্থক্য দূর করে সাম্য ও ন্যয় প্রতিষ্ঠায় মানবতাকে জাগ্রত করতেই জামাআতে নামাজের নির্দেশ ও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিজের দুনিয়া ও পারকালীন জীবনের শান্তি ও মুক্তির লক্ষ্যে জামাআতে নামাজ পড়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়া। কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী ফরজ নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্দর জীবন ও সাওয়াব লাভে জামাআতে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঝালকাঠি আজকাল