নবীজির শানে বেয়াদবির পরিণতি
নবীজির সঙ্গে বেয়াদবির পরিণতি ভয়াবহ। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবীজির সঙ্গে বিদ্রুপকারীদের থেকে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কুরাইশ কাফেরদের মধ্যে দুষ্কৃতকারী একটি দল ছিল। এ দুরাচারীরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেওয়া, তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করা এবং তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে অগ্রগামী ছিল। তারা হলো—
১. ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা
২. আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব
৩. আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুস
৪. হারেস ইবনে আইতাল
৫. আস ইবনে ওয়ায়েল সাহমি।
একদিন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে এসে উপস্থিত হলেন। উপরোল্লিখিত ব্যক্তিদের দেওয়া কষ্টে অতিষ্ঠ হয়ে নবীজি জিবরাঈলের কাছে তাদের নামে অভিযোগ করলেন। এর কিছুক্ষণ পরই সেখান দিয়ে ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা অতিক্রম করল। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তার আঙুলের দিকে ইশারা করে বললেন, আমি তার জন্য যথেষ্ট। তারপর দেখা গেল আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিবকে। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তার চোখের দিকে ইশারা করে বলেন, আমি তার জন্য যথেষ্ট। তারপর এলো আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুস। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তার মাথার দিকে ইশারা করে বললেন, আমি তার জন্য যথেষ্ট। তারপর দেখা গেল হারেস ইবনে আইতালকে। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তার পেটের দিকে ইশারা করে বললেন, আমি তার জন্য যথেষ্ট। সবশেষে দেখা গেল আস ইবনে ওয়ায়েল সাহমিকে। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তার পায়ের দিকে ইশারা করে বললেন, আমি তার জন্য যথেষ্ট।
কিছুদিন যেতে না যেতেই আল্লাহ তাআলা তাদের থেকে প্রতিশোধ নিতে শুরু করলেন। তারা ঠিক সেভাবেই ধ্বংস হতে লাগল, যেভাবে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা একদিন খুজাআ গোত্রের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। ওই গোত্রেরই একজন তার তির-ধনুক ঠিক করছিল। হঠাৎ লোকটির হাত থেকে একটি তির ফসকে গিয়ে ওয়ালিদের আঙুলে লাগল। এতে তার আঙুল কেটে গিয়ে জখম হয়ে গেল। জখমের আঘাতে কিছুদিন সে ছটফট করতে করতে মারা গেল।
আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব একদিন তার সন্তানদের সঙ্গে গাছের নিচে বসে ছিল। হঠাৎ সে অজানা কারণে চিৎকার করে বলতে লাগল, ‘আমার ছেলেরা! আমাকে বাঁচাও! আমি মরে যাব!’ তার ছেলেরা বলল, কী হয়েছে? আমরা তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। সে আবারও বলল, ‘আমি মরে যাব! তাকে থামাও! সে আমার চোখে কাঁটা ঢুকিয়ে দিচ্ছে।’
আসওয়াদ এভাবে চিৎকার করে করে আর্তনাদ করছিল আর তার সন্তানরা একই জওয়াব দিচ্ছিল—কই, আমরা তো এখানে কাউকেই দেখতে পাচ্ছি না। অবশেষে তার চোখ অন্ধ হয়ে গেল। আর এ অবস্থায়ই সে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেল।
আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুসের মাথায় হঠাৎ বড় বড় ফোড়া বের হতে শুরু করল। তার সারা মাথাই জখমে ভর্তি হয়ে গেল। এ রোগে আক্রান্ত হয়েই সে মারা গেল।
হারেস ইবনে আইতালের পেট অজানা কারণে হলুদ রঙের পানিতে ভরে গেল। তার পেট ফুলে-ফেঁপে উঠল। পেটের ময়লা তার মুখ দিয়ে বের হতে শুরু করল। এই ভয়ংকর রোগে ভুগে ভুগে সে মারা গেল।
বাকি রইল আস ইবনে ওয়ায়েল। সে একদিন তার গাধায় চড়ে তায়েফে যাচ্ছিল। হঠাৎ তার গাধা এক কাঁটাতারের ঝোপে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। এতে বিরাট একটি কাঁটা তার পায়ে বিঁধে গেল। সে ওই কাঁটার বিষে ছটফট করতে করতে মারা গেল। (আস-সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি : ৯/৮)
এভাবে এক এক করে সব বেয়াদবই স্বীয় পরিণতি বরণ করে নিল।
আল্লাহ তাআলা সত্য বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে তোমার জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৯৫)
ঝালকাঠি আজকাল- ঝালকাঠিতে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের সাথে প্রার্থীদের মতবিনিময়
- বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
- গাছপাকা নাকি কৃত্রিমভাবে পাকানো আম চিনবেন যেভাবে
- দই দিয়ে রাঁধুন পটলের বিশেষ পদ
- যেভাবে এয়ার কুলার ব্যবহার করলে দ্রুত ঘর ঠান্ডা হবে
- বাকশাল সদস্য হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান: কাদের
- রাঙ্গামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফের কর্মীসহ নিহত ২
- নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০৪ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
- শিক্ষার্থীর শ্বাসনালীতে আটকে যাওয়া বাইন মাছ বের হলো অপারেশন করে
- অভিযান শুরু হলে পাহাড়ে অস্ত্র-গোলা লুকিয়ে সমতলে আসেন রহিম
- কান কর্তৃপক্ষের বিতর্কিত আচরণ, নাম নেই ঐশ্বরিয়ার!
- টেকনাফে হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট
- ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্র্যাস্ট ব্যাংকের শাখায় আগুন
- ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগানোর কড়া নির্দেশ পুলিশের
- ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী
- নিয়ন্ত্রণে এসেছে কারওয়ান বাজারের আগুন
- স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইলেন
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে: আমির হোসেন আমু
- স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ২২বছরের স্বামীর বাড়িতে ৪৩বছর বয়সি স্ত্রী
- শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস
- মুলাদী ও হিজলা উপজেলার ৬০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রই অতি গুরুত্বপূর্ণ
- প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আগৈলঝাড়ায় শোভাযাত্রা
- ভোলায় পাঙ্গাস মাছের অবৈধ পোনা শিকারের ৫টি চাই ধ্বংস
- ভোলায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
- কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী
- ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
- এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প
- উন্নয়ন রূপকল্পের অন্যতম পথিকৃৎ শেখ হাসিনা : ধর্মমন্ত্রী
- সৌদি গেলেন ২৭ হাজার হজযাত্রী
- বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হচ্ছে মডিউলার স্টেডিয়াম
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- বে টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু ডিসেম্বরে
- ঝালকাঠিতে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা
- শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগে দেশীয় পণ্য আজ বিদেশে সমাদৃত: আমির হোসেন আমু
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- ঝালকাঠিতে শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা
- গ্রাম আদালতের জরিমানার ক্ষমতা বাড়ল
- কনস্টেবল পরিচয়ে থানায় তদবির করতে গিয়ে ধরা
- হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না?
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ চলছে
- দশ দিনে এলো প্রায় ১ হাজার কোটির রেমিট্যান্স
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
- পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি যারা
- রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- গরমে সতেজ থাকার কৌশল
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে
- ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
- বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানের প্রতি অনুরোধ