• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

১৮ সেরা সন্তানকে হত্যার পেছনে আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১  

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৮ জন বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগের প্রতিটি ঘটনায় তখনকার আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় এবং পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারে প্রমাণিতও হয়। ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর এ রায় ঘোষণা হয়। প্রসিকিউশনের আনা ১১টি অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের এ দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।

রায়ে বলা হয়, ‘আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন যে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৮ জন বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত ছিল, তা প্রসিকিউশনের তথ্য-প্রমাণে বেরিয়ে এসেছে। তারা কখনও নিজেরা হত্যায় অংশ নিয়েছে, আবার কখনও জোরালো সমর্থন দিয়েছে এবং উৎসাহ যুগিয়েছে।’

এ দুই বদর নেতা ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।

সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লাহ কায়সার এবং চিকিৎসক মো. মর্তুজা, মো. ফজলে রাব্বি ও আলিম চৌধুরীকেও হত্যার পর গুম করে তারা।

সে সময় আলবদর বাহিনীর ওপর ইসলামী ছাত্র সংঘের এ দুই নেতার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। আশরাফুজ্জামান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এবং চৌধুরী মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে পলাতক।

রায়ে বলা হয়, ‘আমরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই মত দিচ্ছি, আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের সর্বোচ্চ শাস্তির আদেশ না দিলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে না।’

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা তার ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে এই হত্যার পরিকল্পনা ও একটি তালিকা পাওয়া যায়। আশরাফুজ্জামান খান ছিল সেই হত্যাকাণ্ডের ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ছিল সেই পরিকল্পনার ‘অপারেশন ইনচার্জ’।

উল্লেখ্য, রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী প্রসিকিউশন ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেওয়া হয়। রায়ের পর নির্ধারিত ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করায় তাদের ক্ষেত্রে আপিল প্রযোজ্য হয়নি।

 

ঝালকাঠি আজকাল