ত্রাণ নয়, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে মাঠে বিএনপি

করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশের মানুষ যখন আতঙ্কিত। সরকার যেখানে নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে সংকট সমাধানে ব্যস্ত এমন পরিস্থিতিতেও থেমে নেই বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার ও সরকারবিরোধী উস্কানি। ত্রাণ সহযোগিতার নামে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে বিএনপি'র একটি সক্রিয় দল কাজ করছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, এতদিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত 'গুজব সেল' থেকে করোনা নিয়ে মিথ্যাচার করলেও এবার নিজেই করোনা নিয়ে নতুন করে গুজব ছড়াচ্ছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সম্প্রতি সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে করোনারি চিকিৎসা সরকারের ত্রাণ তৎপরতা ও সরকারের প্রশংসায় ও সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নতুন করে মিথ্যাচার শুরু করেছেন।

তার ভাষ্য, ত্রাণ ও সুচিকিৎসার অভাবে মানুষ রাস্তাঘাটে মারা যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত চিত্র হচ্ছে, সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে করোনার এই সময়ে দেশের জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। যেখানে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় হুমকির মুখে পড়েছে। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্ব ও সার্বিক কর্মকাণ্ডে জনগণ আজ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি সরকারের কঠোর তদারকিতে চিকিৎসকদের সুচিকিৎসা পেয়েও সাধারণ মানুষ আজ খুশি। 

মিথ্যাচার করে তারেক রহমান আরো বলেন, ছাত্রদল, কৃষকদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা অসহায় বর্গাচাষীদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারা ধান কাটার নামে ফটোসেশন ও ক্ষেতে বসে জুয়াখেলা সহ নানা অপকর্ম করছেন এরইমধ্যে সেসব খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বলেও জানান তারেক রহমান। যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, কেননা সরকার করোনা মোকাবেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সচেতনতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।

তিনি (তারেক রহমান) তার ফেসবুক লাইভে দেশব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে ত্রাণ দেয়ার দাবি করলেও বাস্তবতা হচ্ছে বিএনপির তরফ থেকে খুঁজে খুঁজে দলীয় নেতাকর্মীদের অবস্থান দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে করছেন। তারা বলছেন, লন্ডনের বসে দেশের বাস্তব চিত্র না দেখেই মনগড়া বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান। 

তার দাবিগুলো অযৌক্তিক ভিত্তিহীন ও একপেশে। তার কারণ হলো তারা করোনা কে পুঁজি করে তাদের সাংগঠনিক সকল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ রেখেছে। তাদের একটাই লক্ষ্য করোনা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা। জনগণের আস্থা অর্জন করা। কিন্তু সুনির্দিষ্ট বিকল্প দিকনির্দেশনা বা পরামর্শ ছাড়া শুধু সরকারের সমালোচনা করে তারা কোনোভাবেই জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না কারণ জনগণ আজ অনেক সচেতন।