• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

সংঘাতের মধ্যেই মিয়ানমারে নির্বাচনের তোড়জোড় জান্তার

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন প্রদেশে সশস্ত্র  চলমান সংঘাতের মধ্যেই মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন জান্তা। দেশটির নির্বাচন কমিশন এবং সামরিক সরকার নিয়ন্ত্রিত একাধিক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও জানা গেছে।

এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজ জানিয়েছে, চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সামরিক বাহিনী পরিচালিত সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী কো কো কো’কে দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রধান করেছেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। গত বুধবার থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন কো কো।

পরের দিন বৃহস্পতিবার জান্তা সরকারের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মিন্ট কায়াইং এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সাম্প্রতিক জনশুমারি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি এ বিষয়ক একটি খসড়া প্রতিবেদনও উপস্থাপন করেন।

সামরিক বাহিনীর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, মিয়ানমারে জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরের মধ্যে।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। সেই বৈঠকে তিনি বলেন, দেশের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজ এগিয়ে চলছে এবং তা শিগগিরই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ‘সত্যিকার গণতান্ত্রিক নির্বাচন’ আয়োজনের জন্য জাতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি। কিন্তু সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্র অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পরপরই ফুঁসে উঠেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনতা। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করেন তারা। কিন্তু মিয়ানমারের পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ দমনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করার পর ২০২২ সালের দিকে গণতন্ত্রপন্থীদের একাংশ জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দেওয়া শুরু করে।

২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ)। পিডিএমভুক্ত তিন গোষ্ঠী ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) এই সংঘাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই তিন গোষ্ঠী একত্রে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামেও পরিচিত।

গত প্রায় চার মাসের সংঘাতে মিয়ানমারের অন্তত ৪০টি শহর এবং গুরুত্বপূর্ণ শান প্রদেশসহ অন্তত ৫টি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে পিডিএফ। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশ দখলের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে আরাকান আর্মি।

ঝালকাঠি আজকাল