• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে কী করবেন

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২১  

রোজায় সারাদিন খালি পেটে থাকার পর ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়া হয়। এর ফলে অনেকেরই বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা হয়ে থাকে। যদিও রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়াটা খুব সাধারণ একটি বিষয়। সাধারণত খাদ্যাভাস, সুষম উপাদানের পরিবর্তে বেশি ভাজাপোড়া খেলে এ সমস্যা দেখা দেয়।

রোজা থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে কী করবেন? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ।

রোজা থেকে শেষ বিকেলে অনেকের বমি বমি ভাব দেখা দেয়। সারাদিন অনাহার বা উপবাসের কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। এটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। মূলত পেটে জমে থাকা এসিড বের হওয়ার কারণে এমনটি হয়। এজন্য পেটে সমস্যা তৈরি করে এমন খাবার গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে ওমিপ্রাজল খাওয়া যেতে পারে।

রোজায় বুক জ্বালাপোড়া রোধে করণীয় বিষয়ে অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, বুক জ্বালাপোড়াকে চিকিৎসা বিদ্যার পরিভাষায় রিপ্যাক্স সিনড্রোম বলা হয়। আর এটির কারণে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হলে তাকে আমরা রিপ্যাক্স ডিজিজ বলে থাকি। এ রোগের প্রধান উপসর্গ বুক জ্বালাপোড়া করা। বুকে ব্যথা হয়, মুখে পানি আসে। টক পানি আসে। অনেক সময় হৃদরোগের ব্যথার সাথে এ ব্যথার মিল পাওয়া যায়। এজন্য অনেক সময় ভীতির কারণ হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, এ সমস্যা হলে চিকিৎসার আগে প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। এজন্য অতিরিক্ত তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত ও ফ্রাইড খাবার পরিহার করা দরকার। আরও কিছু নিয়ম মেনে চললে রোগটি প্রতিরোধ করা যায়। তা হলো- একবারে পেটভর্তি খাওয়া যাবে না। অল্প পরিমাণে বারবার খেতে হবে। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করা ঠিক না। কিছুক্ষণ পরে পান করতে হবে।

অনেকের অভ্যেস খাওয়ার পরপরই বিছানায় শুয়ে পড়া। এটা করা যাবে না। খাবার গ্রহণের অন্তত দুই ঘণ্টা পর বিছানায় যেতে হবে। এর পাশাপাশি ওমিপ্রাজল জাতীয় ওষুধ খেলে উপকার হবে। এর মধ্যে আমরা এক্সিয়াম মাপস খাওয়ার পরামর্শ দেই, এটি খুবই কার্যকর। ওষুধটি সকাল-বিকেল দুটি করে খেলে স্বস্তিতে থাকা সম্ভব হবে।

ঝালকাঠি আজকাল