• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

কীভাবে বুঝবেন সিফিলিস হয়েছে?

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলন ও সিফিলিস আক্রান্ত কারো সঙ্গে যৌন মিলনের কারণেই কেউ সিফিলিসে আক্রান্ত হন। তবে সিফিলিস আক্রান্ত কারো রক্ত গ্রহণের মাধ্যমেও এই রোগ হয়। আবার গর্ভাবস্থায় মায়ের সিফিলিস থেকে থাকলে সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগের জীবানুর নাম ট্রেপনোমা প্যালিডাম।

যারা বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করেন এবং ভিন্ন ভিন্ন শয্যাসঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হন, তাদের সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি। সাধারণত আক্রান্ত কারও সঙ্গে যৌন মিলনের ২-৪ সপ্তাহ পরে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে এটা ৩ মাস পর্যন্ত দেরি হতে পারে।


সিফিলিসের লক্ষণ:

এই রোগে আক্রান্ত হলে একেক জনের একেক রকম উপসর্গ দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলসারের মাধ্যমে শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের পর সারাদেহে ব্রনের মতো গুটি দেখা দেয় এবং তা বড় হতে থাকে। কোনো কোনোটির আকার এক সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত নার‌ী ও পুরুষের গোপনাঙ্গে এই রোগ হয়ে থাকে। এছাড়া নারী ও পুরুষের পায়ুপথ বা মলদ্বারেও আলসার হতে পারে। কারো কারো ঠোঁট এবং জিহ্বাতেও আলসার ধরা পড়ে। এমনকি আঙুলেও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। এমনটা হলে বুঝতে হবে, সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম পর্যায়ে রয়েছেন।
 
এ বিষয়ে জার্মানির বোখুমের যৌন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ নোরব্যার্ট ব্রকমেয়ের বলেন, অনেকেই এই উপসর্গগুলো না বুঝে এড়িয়ে যান। অনেকের ধারণা, চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই এগুলো সেরে যাবে। তবে তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে কোনোরকম ওষুধ গ্রহণ ছাড়াই আলসার সেরে যায়। কিন্তু তখন সারা শরীরে ফোসকা বা গুটি দেখা দেয়। কোনোটি লাল, কোনোটি গোলাপি আর কোনোটা পোড়া ফোসকার মতো। হাতের তালুতেও এই ফোসকা দেখা দেয়, তবে এগুলোতে কোনো চুলকানি হয় না। এটা রোগের দ্বিতীয় পর্যায়।

তৃতীয় পর্যায়ে এসে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়, যেমন শ্বাসতন্ত্র, পাকস্থলী, যকৃত, মাংসপেশী এবং হাড়। সবচেয়ে ভয়াবহ হলো যখন সিফিলিস প্রধান আর্টারিকে আক্রান্ত করে। এ সময় মৃত্যুও ঘটতে পারে।


চতুর্থ পর্যায়ে শরীরে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। হৃদপিণ্ডে জ্বালাপোড়া শুরু হয়, যকৃত বা লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়, শরীরের কিছু অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে এবং মস্তিষ্কে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া এই রোগে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, স্নায়ুকোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সিফিলিস থেকে মুক্তির উপায়:

সিফিলিস রোগ থেকে পরিত্রাণের প্রধান উপায়ই হলো সচেতনতা। এছাড়া বিশেষজ্ঞরা বিকল্প অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের কথাও ভাবছেন।

ঝালকাঠি আজকাল