• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

আপাতানিদের অবাক করা নাক

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২০  

 ভারতের অরুণাচল প্রদেশের জিরো উপত্যকায় ৩৭ হাজারের বেশি আপাতানির বসবাস। তাদের রয়েছে নিজস্ব জীবনযাত্রা, ভূমি ব্যবস্থাপনা। বাস্তুসংস্থান আর প্রকৃতি রক্ষায় রয়েছে গভীর জ্ঞান।

উপরের ছবির ওই নারীর নাম টাডু রেলুং। জিরো উপত্যকার সবচেয়ে প্রবীণ নারী তিনি। মুখে ট্যাটু আর নাকের ঐতিহ্যবাহী এই প্লাগের জন্য সারাবিশ্বই আলাদা করে চেনে এই উপজাতিটিকে। এই প্লাগটির নাম ইয়াপিং হুলো। এটি তৈরি হয় গাছের কাঠ থেকে। ১৯৭০ এর দশক থেকে নাকে এমন প্লাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বয়স্ক নারীদেরই এখনও ইয়াপিং হুলো পরতে দেখা যায়।

কেন এই প্লাগ পরতেন সেখানকার নারীরা? কারো মতে সৌন্দর্যের জন্য, কারো মতে প্রতিদ্বন্দ্বী উপজাতিদের হাত থেকে নিজেদের নারীদের রক্ষা করতে এর প্রচলন শুরু। কারণ যা-ই হোক, ধীরে ধীরে এই ঐতিহ্য থেকে সরে আসছেন আপাতানি নারীরা। সেখানকার নতুন আকর্ষণ এখন কিউই ফলের ওয়াইন।

অরুণাচলের অধিবাসীরা কিউইর চাষ বলতে গেলে ছেড়েই দিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বদলে দিয়েছেন তাখে রিতা। কৃষি প্রকৌশলীর এই ছাত্রী ২০১৬ সালে নিজের গ্রামে মদের কারখানায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। এক বছর পর তিনি নিজের বাগান আর রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা কিউই থেকে নতুন মদ তৈরি করেন।

মদ তৈরির গাজন প্রক্রিয়াটি বেশ সময় সাপেক্ষ৷ যার জন্য সাত থেকে আট মাস অপেক্ষা করতে হয়। তবে শুধু অরুণাচল নয় এই মদ পাওয়া যায় পার্শ্ববর্তী আসাম আর মেঘালয় রাজ্যেও। ভারতের বাইরেও পানীয়টি রপ্তানির পরিকল্পনা চলছে। রিতা এরিমধ্যে স্থানীয় কৃষকদর কিউই উৎপাদনে ও চাষে সহযোগিতা করছেন। দিচ্ছেন ফলটি বিক্রির নিশ্চয়তাও।

টিলিং চাদা এবং টিলিং ইয়ানেং বহু বছর ধরে কিউই চাষের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কিউই মদ এখন তাদেরকে জীবনধারণের জন্য আয়ের নতুন উৎসের সন্ধান দিচ্ছে। তাদের মতে, কিউই উৎপাদন করা নিজের সন্তান লালনের মতো। তিন বছর ভালবাসা আর যত্নে বড় করতে হবে তাদের। তারপরই প্রথম ফলন মিলবে।

মদ উৎপাদনের কারণে জিরো উপত্যকার কিউই চাষীরা আবারো ফিরেছেন তাদের পুরনো পেশাতে। এখানকার উজ্জল সূর্যালোকে কোন ধরনের রাসায়নিক ছাড়াই ফলটি হয়। জিরো উপত্যকার পাহাড়ের ঢালে কিউই বাগানের দেখা মিলবে।

সূত্র: ডয়চেভেলে

 

ঝালকাঠি আজকাল