• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

সারাদেশে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ২০২০ সালেই

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৯  

পাইলট প্রকল্পে ভালো ফল পাওয়ায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে আগামী বছর থেকেই মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার বদলে ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হবে। তবে ২০২০ সালে কেবল ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসবে নতুন এই পদ্ধতির আওতায়। পরবর্তী সময়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকে দেশের আট জেলার ১৬টি উপজেলায় সবমিলিয়ে ৬৪টি বিদ্যালয় ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়। শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং চারু ও কারুকলা— এই দু’টি বিষয়ে স্কুলগুলোতে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ভালো ফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মাউশি। এজন্য সারাদেশে ধারাবাহিক মূল্যায়ন যাচাইয়ে কর্মসূচিটি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মাউশির মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, দু’টি বিষয়ে পরীক্ষা না নিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি আগেই চালু করা হয়েছিল। এরপর চালু করা হয় ধারাবাহিক মূল্যায়নের কার্যকারিতা যাচাইয়ে পাইলট কর্মসূচি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত যেটা মনে হয়েছে, ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি আমাদের দেশে খুব কার্যকর হবে। এজন্য আগামী বছর থেকেই সারাদেশে এটি চালু করছি।

গোলাম ফারুক বলেন, পাইলট কর্মসূচি থেকে আমরা ভালো ফল পেয়েছি। সারাদেশে এই কর্মসূচি পরিচালিত হলে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমবে।

এ বিষয়ে জানতে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, গুণগত শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের চিন্তার বিকাশ প্রয়োজন। ফলাফলকেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি কখনোই দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। আমরা এই প্রতিযোগিতাপ্রবণ মানসিকতা থেকে বের হতে চাচ্ছি। তাই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চালু হচ্ছে।

তবে পাইলট প্রকল্পের মতো সারাদেশেও কেবল শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং চারু ও কারুকলায় মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হবে, নাকি সব বিষয়েই এই পদ্ধতি চালু করা হবে— সে বিষয়ে মাউশির এই দুই কর্মকর্তা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

মাউশি সূত্রে জানা গেছে, ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতির আওতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে ২০ থেকে ২১টি ক্লাস নেওয়া হবে। প্রতিটি ক্লাসের সময় হবে ৫০ মিনিট। ষষ্ঠ শ্রেণিতে একটি সেকশন থাকলে তিনটি ক্লাস এবং দুইটি সেকশন হলে ছয়টি ক্লাস নেওয়া হবে। দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে দু’টি শিফটেই এই পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়া হবে।

ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট, সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এরই মধ্যে একটি পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে।

এই পদ্ধতিতে এক স্কুলের শিক্ষকরা অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন যাচাই করবেন। চার জন শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক মূল্যায়ন যাচাই করে নম্বর দেবেন। পুরো প্রক্রিয়াটি মাউশি থেকে একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে তত্ত্বাবধান করা হবে। এছাড়াও উপজেলার অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার, সহকারী পরিদর্শক ও গবেষণা কর্মকর্তারা মূল্যায়ন পদ্ধতি তদারকি করবেন।

ঝালকাঠি আজকাল