• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

দেশের প্রথম ৬ লেনের সেতু মধুমতি নদীতে

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২০  

 

প্রস্তাবিত কালনা সেতুমধুমতি নদীর ওপর বাংলাদেশের প্রথম ৬ লেন বিশিষ্ট সেতু নির্মাণ হচ্ছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে ব্রিজের ৩০ভাগ কাজ শেষ করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। দেশের ভেতরে কালনার পাশাপাশি এই ব্রিজের স্টিল ফ্রেমের কাজ চলছে ভিয়েতনামে। তিন শতাধিক শ্রমিক প্রতিদিন এই ব্রিজ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের সেতু এটি, কালনা সেতু।

এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা।

জাইকার সহযোগিতায় ও দেশীয় অর্থে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

কালনা সেতু নির্মাণ কাজ চলছেকালনা ফেরি পার হওয়া ট্রাকচালক খোকন ফলিয়া বলেন, 'কালনা ঘাটে একটা ফেরি দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন পারাপার করায় সব সময় ভিড় লেগে থাকে। এতে আমাদের সময় অনেক ব্যয় হয়। ব্রিজের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। কাজটি যেন ঠিক সময়ে শেষ হয়, সেজন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি।'

কালনা ঘাট দিয়ে যাতায়াত করা লক্ষীপাশা গ্রামের শেফালী বেগম বলেন, 'কালনা ঘাটে এসে কখনও নৌকা আবার কখনও ফেরিতে পারাপার  হতে হয়। তাতে অনেক সময় লাগে। ব্রিজ হলে আমাদের ঘাটে এসে আর বসে থাকতে হবে না। আমরা চাই শিগগিরই ব্রিজটি তৈরি হোক। আমাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে কালনায় ব্রিজ তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।'

এই ঘাট দিয়ে চলাচলকারী শংকরপাশা গ্রামের মো. খবির শেখ, আসাদ শেখ, রাতইল গ্রামের আক্কাস মুন্সী, খানজাহান আলী পরিবহনের চালক ইদ্রিস আলী, কাশিয়ানী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খোকন সিকদারসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, কালনা সেতু তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।

কালনা সেতু নির্মাণ কাজ চলছেরাতইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, 'সেতুটি নির্মাণ হলে গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা ও যশোর অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। এই রাস্তায় চলাচলকারী লাখ লাখ যাত্রীর জন্য ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ বছরের অসহনীয় দুঃখ দুর্দশা থেকে রেহাই পাবে এই ঘাট দিয়ে চলাচলকারীরা। তাদের আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি ঘাটে বসে থাকতে হবে না। শুধু তাই নয়, কালনা সেতু নির্মাণ হলে বেনাপোল-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে। বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে আমদানি-রফতানি পণ্য সরাসরি পদ্মা সেতু হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহনের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে ব্যবসায়ীরা।

কালনা ফেরি ঘাট ইজারাদার মঞ্জুর হাসান বলেন, 'আর বেশিদিন যাত্রী সাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। খুব তাড়াতাড়ি তারা এই সেতু পার হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে রাজধানীতে যেতে পারবেন।'

কালনা ফেরি ঘাটকালনা সেতুর সহকারী প্রকল্প পরিচালক ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, ছয় লেনের এই সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির এবং দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে। উভয় পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক হবে ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা।

তিনি আরও জানান, জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এই সেতু নির্মিত হচ্ছে। জাপানের টেককেন করপোরেশন, ওয়াইবিসি ও বাংলাদেশের আব্দুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এই সেতুর নির্মাণ কাজ করছে।

ঝালকাঠি আজকাল