• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয়

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২২  

শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখে দেশের কথিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে- উন্নয়নের নামে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনেক শক্তিশালী।

শ্রীলঙ্কার রাজস্ব আয়ের প্রধান খাত- পর্যটনশিল্প। ২০১৯ সালে কলম্বোয় তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় বোমা বিস্ফোরণের পর পর্যটন খাতে ধ্বস নামে। ফলে চাপ বাড়ে রির্জাভের উপর। আর করোনার দুই বছরে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এ খাত থেকে আয় হয়নি দেশটির। কিন্তু পর্যটক আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রকল্পে পূর্বে নেওয়া বিদেশি ঋণের কিস্তি ঠিকই পরিশোধ করতে হয়েছে।

রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স এবং শিল্প উৎপাদনেও দূর্বল শ্রীলঙ্কা। মূল্য সংযোজন কর ১৫ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশ ধার্য করা, ‘জাতীয় উন্নয়ন কর’ এবং ‘যত আয় তত কর’ ব্যবস্থা বিলুপ্ত করায় দেশটির রাজস্ব আয় নেমে আসে তলানিতে। পাশাপাশি কৃষিতে রাসায়নিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করায় ফসল উৎপাদন নেমে আসে শূণ্যের কোটায়। সব মিলিয়ে কিছু ভুল পরিকল্পনা আর করোনা মহামারিতে এই দশা হয়েছে দেশটির।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি ভিন্ন।করোনার দুই বছরে বাংলাদেশের মতো বেশির ভাগ দেশ টিকে গেছে কৃষি খাতের কারণে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় খাদ্যসংকট হয়নি। আর আমাদের রফতানি আয় ও রেমিটেন্সের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

আশা করা হচ্ছে, পণ্য রপ্তানি চলতি অর্থবছর শেষে ৫ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলকে পৌঁছবে।

শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলারেরও কম। আর বাংলাদেশের ৪৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ২৯২.১১ ডলার আর শ্রীলঙ্কার ১৬৫০ ডলার।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, বেদনাদায়ক বিষয় হলো, একটি নির্দিষ্ট মহল আমাদের এই সুন্দর দক্ষিণ এশিয়া বন্ধু রাষ্ট্রের দুর্দশাকে পুঁজি করে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির শক্তিমত্তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ যে নেই সে কথা তো মানতেই হবে। বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ধ্বংসস্তূপ থেকে সমৃদ্ধির পথেই হেঁটে চলেছে। বিশ্ব আর্থিক মন্দা এবং সর্বশেষ করোনাকাল পেরিয়ে সফলতার সঙ্গে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা উবে গেছে। চ্যালেঞ্জ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তাই শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশের তুলনা করা মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয়।

ঝালকাঠি আজকাল