• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

দুই বছরে কোরিয়ায় গেছেন দেড় হাজার কর্মী

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২২  

করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদেশি কর্মী গ্রহণ স্থগিত করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। তবে পুনরায় চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট এক হাজার ৪৪৭ জন বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়াতে গিয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ মে) ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে সোমবার প্রবাসী শ্রমিকদের আরেকটি দল কোরিয়ায় গেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ১২৩ জন বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীকে বিদায় জানান।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে কোরিয়া এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের পুনরায় যাত্রা শুরু করার পর এটি ছিল কোরিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের ১৪ তম ব্যাচ।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১১১ জন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১৩০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০৮ জন, মার্চে ২১৮ জন, এপ্রিলে ৬৫৭ জন এবং মে মাসে ১২৩ জন বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী কোরিয়ায় গেছেন।

বিদায় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত লি বিদায়ী বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন এবং কোরিয়াতে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণের জন্য তার আশা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ইপিএস কর্মীরা কয়েক দশক ধরে কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত লি কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে জনগণের মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর এবং শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন, যার সর্বোত্তম ব্যবহার হচ্ছে এই ইপিএস প্রোগ্রাম।

এবার ১২৩ জন শ্রমিকের মধ্যে ১০৯ জন নবীন এবং বাকি ১৪ জন পুনঃপ্রবেশ কর্মী। আশা করা হচ্ছে চলতি মাসে বাংলাদেশ কর্মীদের আরও তিনটি ব্যাচ কোরিয়াতে যাবে। ২০০৭ সালে দুই দেশের মধ্যে ইপিএস এমওইউ হওয়ার পর থেকে ইপিএস কর্মসূচির আওতায় ২৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে।

ইপিএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোরিয়া বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে মাঝারি ও স্বল্প-দক্ষ বিদেশি শ্রমিকদের গ্রহণ করে আসছে। তবে করোনা মহামারীর কারণে কোরিয়ান সরকার দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইপিএস কর্মী গ্রহণ স্থগিত করে এসেছে।

প্রেরণকারী দেশগুলোর পাশাপাশি নিয়োগকারীদের কাছ থেকে পাওয়া ক্রমাগত অনুরোধ বিবেচনা করে কোরিয়ান সরকার ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে সীমিত সুযোগ এবং পর্যায়ক্রমে শক্তিশালী কোভিড-১৯ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

 

ঝালকাঠি আজকাল