• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

শুধু বিশেষ পরিস্থিতির জন্য ভার্চুয়াল কোর্ট: আইনমন্ত্রী

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২০  

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর এই পৃথিবীতে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রথা চালু হবে এটাই সাভাবিক কিন্তু এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভার্চুয়াল কোর্ট স্বাভাবিক বিচার  ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ বদলিয়ে বিকল্প হিসেবে কাজ করার জন্য নয়।

তিনি বলেন, সংবিধান, সিআরপিসি (ফৌজদারী কার্যবিধি), সিপিসি (দেওয়ানী কার্যবিধি) এবং সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী আদালতের কাজ সাভাবিক পরিস্থিতিতে যে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হয় সেটাই বলবৎ থাকবে। শুধু অস্বাভাবিক বা বিশেষ  কোন পরিস্থিতির জন্য ভার্চুয়াল কোর্ট প্রথা অবলম্বন করা হবে। ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশটি  স্থায়ী আইনে  পরিণত হলেও  সেটার ব্যবহার হবে বিশেষ পরিস্থিতিতে।

রবিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবন মিলনায়তনে সহকারী জজদের অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি সেবার সাথে বিচারক ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সমান তালে এগিয়ে নিতে চায় এবং সরকারি আইনি সেবার মানোন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায় যেখানে সকল মানুষ তার আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় সেবাসমূহ সহজেই গ্রহণ করতে পারবেন।

মন্ত্রী বলেন, সে কারণে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় পর বিচারকার্যক্রমকে সচল রাখার লক্ষে সরকার দ্রুততম সময়ে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’  তথা ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা আইন প্রণয়ন করে যা বিচার বিভাগকে আধুনিক ও গতিশীল করার জন্য একটি যুগান্তকারী আইন।

তিনি বলেন, কারণ এই আইন দেশের বিচার বিভাগকে নতুন যুগে প্রবেশ করিয়েছে।সরকার বিগত ৯ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারীর পরের দিনই ভার্চুয়াল আদালত গঠন করা হয় এবং ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারকার্যক্রম চালু করা হয়। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১১ মে  থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ৩৫ কার্যদিবসে সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিজ্ঞ বিচারকগণ ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ৯৫ হাজার ৫২৩ টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন এবং একই সময়ে ৪৯ হাজার ৭৬২ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন। এটি সম্ভব হয়েছে  প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে। এটি সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণ সহযোগিতার কারণে।

এ বছরের পহেলা জানুয়ারি সহকারি জজ ও জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেটদের নিয়ে চারমাস মেয়াদি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করা হয়। ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ প্রথম সনাক্ত হওয়ার পর ২৩ মার্চ কোর্সটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। অনলাইনের মাধ্যমে সেই কোর্স সম্প্ন্ন করতে রবিবার পুনরায় তা উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। সভাপতিত্ব করেন বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ।

ঝালকাঠি আজকাল