• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

চার ধরনের নোট ও মুদ্রা ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২০  

 


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ২০০ টাকার নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্মারক ব্যাংক নোট নামে এটি বাজারে ছাড়া হলেও প্রচলিত নোটের মতোই লেনদেন করা যাবে। এ জন্য নোটের গায়ে প্রচলিত ব্যাংক নোটের মতোই লেখা থাকবে—‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’। ২০০ টাকার এই নোটসহ চার ধরনের স্মারক নোট ও মুদ্রা ছাড়া হবে। অন্যগুলো হলো—১০০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট, ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের স্মারক স্বর্ণ মুদ্রা এবং ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের রৌপ্য মুদ্রা। আগামী ১৭ মার্চ এগুলো বাজারে ছাড়া হবে। ওই দিন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘২০০ টাকার স্মারক ব্যাংক নোটটি হবে প্রচলিত নোটের মতোই, যা দিয়ে লেনদেন করা হবে। প্রথম বছর স্মারক ব্যাংক নোট হিসেবে এটি বাজারে থাকলেও পরের বছর থেকে নিয়মিত নোট হিসেবে পাওয়া যাবে।’ যে মুদ্রা তথা ব্যাংক নোট কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ছাপানো হয়, সেটাই স্মারক নোট। তবে ১০০ টাকার যে স্মারক নোটটি বের করা হচ্ছে সেটার গায়ে উল্লেখ থাকবে ‘বিনিময়যোগ্য নয়’।

বর্তমানে বাজারে ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট প্রচলিত আছে। এর পাশাপাশি আছে ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন। কিন্তু ২০০ টাকার কোনো নোট নেই। এতে ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ভাঙতির ক্ষেত্রে ১০০ টাকা বা তার কম মূল্যমানের নোটে বেশি চাপ পড়ে। যেমন কেউ ১০০ টাকার বাজার করে ৫০০ টাকার নোট দিলে ৪০০ টাকা ফেরত দিতে চারটি ১০০ টাকার নোটের প্রয়োজন হয়। একইভাবে ৪০০ টাকার জন্য আটটি ৫০ টাকা, ২০টি ২০ টাকা অথবা ৪০টি ১০ টাকা দিতে হচ্ছে। এটা খুবই ব্যয়বহুল উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, লেনদেন আরো সহজ করতে ২০০ টাকার নোট এমনিতেই ছাড়ার চিন্তা করা হচ্ছিল। এখন বিশেষ উদ্দেশ্যকে ফোকাস করে আনা হচ্ছে বলে স্মারক ব্যাংক নোট বলা হচ্ছে। তাঁরা আরো জানান, ২০০ টাকার নোট বের হলেই ১০০ টাকার চাহিদা অর্ধেক হয়ে যাবে। এতে ৫০০ টাকার চাহিদাও কমে আসবে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রাও ছাড়া হবে। এর মধে এক হাজার ১৫০টি স্বর্ণ মুদ্রা এবং পাঁচ হাজার রৌপ্য মুদ্রা ছাড়া হবে। ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের স্বর্ণ মুদ্রার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৩ হাজার টাকা। আর রৌপ্য মুদ্রার দাম ধরা হয়েছে ৩৫০০ টাকা।

উল্লেখ্য, প্রচলিত ব্যাংক নোট দিয়েই কেবল বাজারে সব ধরনের লেনদেন করা যায়। আর স্মারক নোট শখের বশে মানুষ সংগ্রহ করে থাকে। সাধারণত বিশেষ বিশেষ ঘটনা স্মরণীয় করে রাখতে স্মারক নোট ও মুদ্রা ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ পর্যন্ত ১২ ধরনের স্মারক নোট ও মুদ্রা ছেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মূল্যমানের ৫২ ধরনের প্রচলিত নোট ও ১১ ধরনের ধাতব মুদ্রা লেনদেনের জন্য বাজারে ছাড়া হয়েছে।

ঝালকাঠি আজকাল