শিক্ষাগত যোগ্যতায় হবে প্রাইমারি স্কুলের কমিটি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটিতে (এসএমসি) আমূল পরিবর্তন আনছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।সভাপতিসহ ১১ সদস্যবিশিষ্ট এসএমসির দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।আগামী সপ্তাহে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, নীতিমালায় সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে সর্বনিম্ন স্নাতক (অনার্স) পাস নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় মনোনীত বিদ্যোৎসাহী সদস্যদেরকেও এসএসসি পাস হতে হবে। তবে অভিভাবক প্রতিনিধিসহ অন্য ক্যাটাগরির সদ্যসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলের এসএমসি গঠনে স্নাতক পাস সভাপতি পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কারণ এসএমসির ১১ সদস্যের ভোটেই সভাপতি নির্বাচিত হবেন।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গুণগতমান নিশ্চিত করতে এসএমসিতে বড় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষিত ও যোগ্য লোককে এ কমিটির প্রধান করা হবে। যে কারণে সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যোৎসাহী সদস্য হতে হলেও এসএসসি পাস হতে হবে। অবশ্যই তাদের সন্তানকে স্কুলে পড়তে হবে। কারণ নিজের সন্তান স্কুলে না পড়লে প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার দরদ থাকে না। স্কুলের প্রতি যাতে তার দরদ থাকে, স্কুলের উন্নয়নের কথা ভাবে, কেউ যেন স্কুল নিয়ে বাণিজ্য করতে না পারে, সেজন্য এসএমসি গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এ-সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘১১ সদস্যবিশিষ্ট এসএমসি গঠিত হবে। তাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপির সুপারিশে স্কুলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্য থেকে একজন বিদ্যোৎসাহী নারী ও একজন পুরুষ সদস্য মনোনয়ন দেবেন প্রধান শিক্ষক। তবে তাদের অবশ্যই এসএসসি পাস হতে হবে। বিদ্যালয়ের জমিদাতা বা তাদের উত্তরাধিকারীদের মধ্য থেকে একজন সদস্য মনোনীত হবেন। জমিদাতারা নিজেরা প্রতিনিধি মনোনীত করতে না পারলে উপজেলা শিক্ষা কমিটি নির্ধারণ করে দেবে।
সংশ্লিষ্ট স্কুলের নিকটবর্তী সরকারি-বেসরকারি হাইস্কুলের একজন শিক্ষক কমিটির সদস্য মনোনীত হবেন। ওই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তা নির্ধারণ করে দেবেন। স্কুলের শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ভোটে দুজন নারী ও দুজন পুরুষ সদস্য নির্বাচিত হবেন। স্কুলটি ইউনিয়ন বা পৌরসভার যে ওয়ার্ডে অবস্থিত সেখানকার ইউপি সদস্য বা কাউন্সিলর পদাধিকার বলে সদস্য মনোনীত হবেন। এ ১১ জনের ভোটে সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন। সভাপতিকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। একই স্কুলে টানা দুবারের বেশি কোনো ব্যক্তি সভাপতি হতে পারবেন না। কমিটির সদস্যরা সভাপতিকে লিখিতভাবে না জানিয়ে টানা তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে সদস্য পদ বাতিল হবে। কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর। কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ে কমিটি গঠনে ব্যর্থ হলে ছয় মাসের জন্য অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে হবে। অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হবেন সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা।
কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য
প্রতি বছর মে, আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে স্কুল ব্যবস্থাপনা, শিক্ষার্থী উপস্থিতি ও শিক্ষকদের দায়িত্ব পালনের ওপর প্রতিবেদন উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দিতে হবে এসএমসিকে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সততা, নৈতিক শিক্ষা প্রদানে ভূমিকা রাখতে হবে। কমিটির সকল সদস্যকে প্রতি মাসের শেষ কর্মদিবসে ক্লাস শেষে অন্তত এক ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও সুপারিশ শুনতে হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা শিক্ষা কমিটির কাছে প্রতিবেদন দিতে হবে।
কমিটি স্কুলের সার্বিক উন্নয়নে জনগণের কাছ থেকে জমি, ভবন, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি, শিখন ও শেখানো সামগ্রী, শিক্ষা উপকরণ, নগদ অর্থ নিতে পারবে। দানকারীদের নাম প্রধান শিক্ষকের রুমের বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে। ভবন নির্মাণে স্কুলের খেলার মাঠ ও অন্যান্য স্থাপনা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে উপজেলা বা থানা প্রকৌশলীর প্রত্যায়ন নিতে হবে।
কমিটির সদস্যদের স্কুলের শিখন-শেখানো পরিবেশ সম্পর্কিত অবস্থা বিশ্লেষণ এবং সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে স্কুলের উন্নয়নে তহবিল সংগ্রহ করতে হবে। স্কুলের ক্যাচমেন্ট (আশপাশের নির্ধারিত এলাকা) এলাকার সকল শিশুকে স্কুলে ভর্তি ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে এসএমসিকে শিশু জরিপে সহায়তা করতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু চিহ্নিতকরণ ও ভর্তিসহ তাদের সহযোগিতা করতে হবে। তাদের চাহিদা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রাপ্ত অর্থ সঠিকভাবে খরচ নিশ্চিত করতে হবে। এসএমসি সদস্যদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাসামগ্রী ক্রয়সহ সার্বিক তদারকি করতে হবে। স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারে এসএমসি তিন লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবে। তবে উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। স্থানীয়দের অনুদানের মাধ্যমে নির্মাণকাজে এ শর্ত কার্যকর হবে না।
স্কুলের ক্যাচমেন্ট এলাকার প্রাথমিক স্তরে ঝরে পড়া শিশুদের শনাক্ত করতে হবে। তাদের দ্বিতীয় দফায় শিক্ষা কার্যক্রমে সুযোগ দিতে হবে। ঝরে পড়া শিশুর অভিভাবকদের দ্বিতীয়বার শিক্ষা চালিয়ে নিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় শিক্ষক নির্বাচনে সহায়তা দিতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে শিক্ষক যাচাই করবে এসএমসি। এছাড়া স্কুলে সকল প্রশিক্ষণ ও সাব ক্লাস্টারের কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করতে হবে। দুর্যোগকালীন সময়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকদের সতর্ক এবং দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি ও পরবর্তীতে করণীয় নির্ধারণ করবে এসএমসি।
এসএমসির ১১ সদস্যের মধ্যে শিক্ষক ছাড়া অন্যদের পর্যায়ক্রমে চারজনকে প্রতি মাসে অন্তত ছয়দিন স্কুলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন এসএমসির মাসিক সভায় উপস্থাপন করতে হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের স্কুলে ভর্তি ও নিয়মিত উপস্থিত নিশ্চিত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে তদারকি করতে হবে।
এসএমসি অনুমোদনের পরবর্তী তিন বছর দায়িত্ব পালন করবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগে প্রধান শিক্ষক পরবর্তী কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেবেন। সরকারি আদেশ অমান্য, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, আর্থিক অনিয়ম এবং যেকোনো শৃঙ্খলা পরিপন্থী কারণে এসএমসি বাতিল করে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষা কর্মকর্তা। এ প্রজ্ঞাপন জারির আগে গঠিত এসএমসি পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। তবে প্রজ্ঞাপনটি পার্বত্য তিন জেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
ঝালকাঠি আজকাল- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট
- অনলাইনে ছবি শেয়ার করাও বিপজ্জনক হতে পারে
- গরমে গাড়ির টায়ারের জন্য কোন বাতাস উপকারী?
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
- গরমে বাড়ে যেসব চর্মরোগ
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- প্রিজন সেলে হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- ঝালকাঠিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বিয়ে করলেন জোড়া লাগা ২ বোন, স্বামী একজনই
- কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন