• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

লন্ডনের ওহীতে চলছে বিএনপি, নির্বিকার সিনিয়র নেতারা

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৯ জুন ২০২০  

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ও নিজে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। আর এই সুযোগে লন্ডনের ওহীতে চলছে বিএনপি। যে কারণে নির্বিকার দলের নীতি নির্ধারকরা।

সম্প্রতি বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারেক রহমান দলের মধ্যে একটা বলয় তৈরি করেছেন। দলের নীতি-নির্ধারণী সব সিদ্ধান্তই তার কাছ থেকে আসছে।

এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, এই মুহূর্তে তারেক রহমানের উচিত বিএনপির নীতিনির্ধারক স্থায়ী কমিটির সদস্যদের উপর দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া। কেননা লন্ডনে বসে দেশের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায়না।

তারা বলেন, দলের সব সিদ্ধান্তই যদি তারেক রহমান এককভাবে নেবেন, তাহলে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাজ কী? মহাসচিবের ক্ষমতা কতটুকু? যতদিন না পর্যন্ত মহাসচিবকে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে দেয়া হবেনা, সাংগঠনিক কার্যক্রমে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ নেয়া হবে না ততদিন পর্যন্ত বিএনপির কোনো উন্নয়ন হবে না।

তারা আরো জানান, বিএনপিতে মূলত তিনটি ভাগ রয়েছে। তৃণমূল, সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এসব বিষয় এখন শুধুমাত্র তারেক রহমানই দেখছেন, যা একেবারেই ঠিক নয়। অতীতে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ব্যর্থ বলা হয় কিন্তু ভেতরের চিত্রটা ভিন্ন। কারণ বিএনপি শুধুমাত্র একজনের নির্দেশে চলে। শুধুমাত্র লন্ডনের পাঠানো ওহীর উপরই তাদের নির্ভর থাকতে হয়।

তাই যতদিন না লন্ডন থেকে ওহী আসা বা স্কাইপের মাধ্যমে দল পরিচালনা বন্ধ হবে, দলের দক্ষ ও চৌকস নেতাদের মূল্যায়ন হবে না ততদিন পর্যন্ত এই দলের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি এখন এতটাই রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া যে দলের সম্মেলন করার ক্ষমতা নেই। কয়েক বছর ধরে বিএনপির সহযোগী ছাত্রদল, যুবদলসহ যেসব সংগঠনের কমিটি করা হয়েছে তা নিয়ে হাঙ্গামা হয়েছে। দলীয় অফিসের সামনে কর্মীরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছেন। নেতাদের অবরুদ্ধ পর্যন্ত রেখেছেন। কীভাবে এসব কমিটি হয়? কিভাবে কারা কমিটির নেতৃত্বে আসেন? সিনিয়র নেতারা এর কিছুই জানেন না অথচ এর দায়ভার এসে পড়ে তাদের উপরই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যেকোনো সিদ্ধান্তেই তারেক রহমানের পরস্পরবিরোধী অবস্থান দলকে বেকায়দায় ফেলে দেয়। যেকোনো সিদ্ধান্তই আসে লন্ডন থেকে। গত নির্বাচনেও বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল তার মূলে ছিল তারেকের হস্তক্ষেপ। নির্বাচনের পর প্রথমে বিএনপির সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল না কিন্তু তারেকের বার্তায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন সিনিয়র নেতারা।

ঝালকাঠি আজকাল