• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

রাজাপুরে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  

রাজাপুর প্রতিনিধিঃ ‘ভিটামিন এ প¬াস খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ও জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে উপজেলা অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোহাগ হাওলাদার।

আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপিত হবে এসময়ে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের সকল শিশুকেই ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে বলে সভায় জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোঃ আবুল খায়ের মাহমুদ।

উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ১৪৫ টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।  এ বছর রাজাপুর উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু ২১১৩ জন ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১৫৪০১ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে কোভিড পজিটিভ হোক বা নেগেটিভ হোক, সকল শিশুকেই ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে বলে সভায় জানিয়েছে এই কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র শিশুর যদি শ্বাসনালীর অসুস্থতা বা শ্বাসকষ্ট অথবা অন্য কোন মারাত্মক অসুস্থতা থাকে তবে শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো যাবে না। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২০ উপলক্ষ্যে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভায় এ সব তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে শিশুকে ভিটামিন খাওয়ানোর সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীকে অবশ্যই মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কেন্দ্রে অবস্থানকালে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীগণ ঘন সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নেবে। সংক্রমণের ভয় থাকলে কোন অভিভাবক স্বাস্থ্যকর্মীর নির্দেশনা মেনে নিজ হাতেই কেন্দ্রে বসে তার শিশুকে ভিটামিন খাওয়াতে পারবেন।

এছাড়াও রাজাপুর উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপিস্থিতিতে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভার দ্বিত্বীয় পর্বে 'জলাতঙ্ক নির্মূলে টিকাদান, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ান' প্রতিপাদ্যে বিশ্ব জলাতঙ্ক বা র‌্যাবিস দিবস-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিশেষজ্ঞরা বলেন জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধি, যা প্রাণী থেকে মানুষে ও প্রাণীতে মূলত রোগটি সংক্রামিত হয় কুকুরের মাধ্যমে। ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার বিভাগ সহ সকল দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক সহযোগি সংস্থার সাথে কাজ করছে। সরকার এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে, এ কার্যক্রমের আওতায় দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, ৬৩ টি জেলা সদর পৌরসভা ও ৩৯ টি জেলার সকল উপজেলার ন্যায় রাজাপুর উপজেলায় ইতিমধ্যে অনুমিত ৮০% (মোট কুকুর সংখ্যার) ১ রাউন্ড টিকার কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। এভাবে দেশে টিকাদান প্রাপ্ত মোট কুকুরের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৯৯ হাজার।    

ঝালকাঠি আজকাল