• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

রাজাপুরে ইসলামিক মিশন হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যন্ত গ্রামে চিকিৎসা সেবা পৌছে দিয়েছেন। দেশের হাসপাতালগুলোর সেবা নিয়ে যখন নানা অভিযোগ তখন ঝালকাঠির ইসলামিক মিশন হাসপাতাল সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রানালয় ইসলামিক মিশন হাসপাতালে অসংখ্য রোগী বিনামূল্যে পাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। হচ্ছে ফ্রি সব টেষ্ট। 

ইসলামীক ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও পরিচালনায় বাংলাদেশের একমাত্র ইনডোর ভিত্তিক এই হাসপালটি চালু হয়েছে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কানুদাসকাঠিতে। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী এখান থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। প্রায় সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ডাক্তাররা। হচ্ছে নানা টেস্টেরও ব্যবস্থা তাও আবার ফ্রি। কেবল আউট ডোর ভিত্তিকই আবাসিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা রয়েছে। আর তাই রাজাপুর উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কাঠালিয়া ও ভান্ডালিয়া উপজেলার অসংখ্য অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন সেবা নিতে এখানে আসছেন।

এই করোনা কালেও হাসপাতালটি নিয়মিত ভাবে চলছে। মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন বলে এখানে নিয়জিত চিকিৎসকরা জানান।

এদিকে ইসলামীক মিশনের এ হাসপাতালটি বাংলাদেশে একমাত্র ইনডোর ভিত্তিক হাসপাল। এখানে আউটডোরেও প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হয়। গুরুতর রোগীকে ভর্তি রেখে করা হচ্ছে অন্যান্য চিকিৎসা। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় আবাসিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সাধ্যের মধ্য থেকে। ৩১ শয্যার এ হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কসহ ৬জন চিকিৎসক,৫জন নার্স ও দুইজন টেকনিশিয়ানসহ মোট অনুমোদিত পদ ১৩টি। 

রোগী বেলায়েত হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার সাধানর মানুষের চিকিৎসা দেয়ার জন্য এই গ্রাম পর্যায়ে হাসপাতাল দিয়েছেন। আমরা এখন বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারি। এ হাসপাতালে ভালো ডাক্তার আছেন তার আমাদের ভালো করে চিকিৎসা করেন। এখন আমাদের টাকা দিয়ে দুরে ডাক্তার দেখাতে যেতে হয়না। 

ইসলামিক মিশন হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: খালিদ আল-আজম, বলেন, বাংলাদেশে ইসলামীক ফাউন্ডেশনের এই প্রথম ইনডোর ভিত্তিক হাসপাতাল এখানে আমার রোগীদের যত্ন নিয়ে সেবা দিচ্ছি। ২০১৭ সালে যোগদানের পর থেকে সরকারি নির্দেশনায় সাধারণ রোগীদের ১০ কাটা টিকিটে ভালো চিকিৎসা সেবা পত্র ও বিনামূল্যে ঔষধ দিচ্ছি ।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানালেন, করোনা কালীন সময়ে যখন অনেক হাসপাতালে সাধারণ মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছে তখন ঝালকাঠির এ হাসপালালটির চিত্র ভিন্ন। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী সেবা পাচ্ছে। ধর্মমন্ত্রানালয়ের অধিনে এখানকার সংসদ সংদস্য বজলুল হক হারুন ধর্ম মন্ত্রানালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকাকালীন তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ হাসপাতাল চালু করেন। গ্রামের মানুষ এখন ভালো চিকিৎসা পাচ্ছে। 

২০১৭ সালে নিভৃত পল্লীতে গড়ে উঠেছে এই মানব সেবার প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসী চাইছে এখানে আরও চিকিৎসক নিয়োগের মাধ্যমে দেশের চিকিৎসা সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক এই চিকিৎসালয়।
 

ঝালকাঠি আজকাল