• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ধৈর্যের চেয়ে কল্যাণকর কিছু নেই

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২০  

কভিড-১৯’ এর কারণে মানুষ এখনো নানা সংকট ও দুঃসময়ে দিন কাটাচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি সংকট পরিস্থিতি মানুষকে অধৈর্য ও হতাশ করে তুলছে। তবে এ দুঃসময়ে মুমিনদের কর্তব্য হবে আল্লাহর ওপর আস্থা রেখে ধৈর্য ধারণ করা এবং তাঁর কাছেই সাহায্য চাওয়া। কোরআনের এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)

মানবজীবনে ছোট-বড় অনেক বিপদাপদ ও সংকট দিয়ে আল্লাহ তাআলা বান্দার পরীক্ষা করবেন, এটা কোরআনের কথা। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়ভীতি, ক্ষুধা, জীবন-সম্পদ ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা, আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৫)। বিপদাপদ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ। এ কথাটি হাদিস শরিফের বিভিন্ন ভাষ্য দ্বারা স্পষ্ট হয়। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে বিপদে আক্রান্ত করেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪৫)

আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন তাঁর বান্দার কল্যাণ চান তখন দুনিয়াতে তার শাস্তি ত্বরান্বিত করেন, আর যখন কোনো বান্দার অকল্যাণ চান তখন তার পাপগুলো রেখে দিয়ে কিয়ামতের দিন তার প্রাপ্য পূর্ণ করে দেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৯৬)

তবে কঠিন বিপদেও যারা সওয়াবের আশায় ধৈর্য ধারণ করবে তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে পুরস্কারের ঘোষণা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বলো! হে মুমিন বান্দা, যারা ঈমান এনেছ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় করো। যারা এ দুনিয়ায় ভালো কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ। আর আল্লাহর জমিন প্রশস্ত, শুধু ধৈর্যশীলদেরই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেওয়া হবে কোনো হিসাব ছাড়াই।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ১০)

হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি (আল্লাহ) যখন আমার মুমিন বান্দার কোনো আপনজনকে মৃত্যু দিই, আর সে সবর করে, তখন আমার কাছে তার একমাত্র প্রতিদান হলো জান্নাত।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪২৪)

এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে কষ্ট-ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪১)

ধৈর্যশীলতা মুমিন বান্দার কল্যাণকর একটি গুণ। এই গুণ অর্জনে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। একবার রাসুল (সা.) আনসার সাহাবিদের কিছু লোককে বলেন, ‘যে ব্যক্তি ধৈর্য ধরে, তিনি (আল্লাহ) তাকে ধৈর্যশীলই রাখেন। আর যে অমুখাপেক্ষী হতে চায়, আল্লাহ তাকে অভাবমুক্ত রাখেন। ধৈর্যের চেয়ে বেশি প্রশস্ত ও কল্যাণকর কিছু কখনো তোমাদের দান করা হবে না। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭০)

আল্লাহ তাআলা আমাদের বিপদাপদে আল্লাহর ওপর আস্থা রেখে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।

ঝালকাঠি আজকাল