• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে প্রতিবেশীদের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯  

সরকারের একশ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন কাজ চলমান। এ উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় বর্তমান অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে পানি এবং কৃষি ও সেচ খাতে। ভাটির এ দেশের অনেক নদ-নদীর উৎস প্রতিবেশী দেশগুলো। সেজন্য এ উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশ/সংস্থাসহ ভারত, মিয়ানমার, চীন, নেপাল, ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে, আরও চাইবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়িয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরকারের ১০০ বছরের ডেল্টা পরিকল্পনা নিয়ে উন্নয়ন সহযোগী বিদেশি রাষ্ট্র/সংস্থাগুলোর সঙ্গে পরামর্শবিষয়ক আয়োজন ‘কনসাল্টেশন উইথ ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স অন ইমপ্লিমেন্টশন: বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’তে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মন্ত্রী বলেন, ‘ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা সবার সাহায্য-সহযোগিতা চেয়েছি, চাই। বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী যারা আছে ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন; যেখানে থেকে আমাদের নদ-নদীর পানি আসে, তাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা আরও বাড়বে এবং এই সহযোগিতার মাধ্যমে এগোতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। মূল কথা হলো, এই কাজটা আমরা স্বাবলম্বীভাবে করতে চাই। টাকা ধার প্রয়োজন হবে, এতে কেউ অংশ নিতে চাইলে স্বানন্দে তাকে স্বাগত জানাব। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা রয়েছেন, তাদের আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু শেষ আখেরে, আমাদের নিজেদের কাজ নিজেরাই করব।’

‘এই বদ্বীপকে রক্ষা করতে হলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হবে, দারিদ্র্যকে মোকাবিলা করতে হবে ইত্যাদি। সেই কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, আস্তে আস্তে এই কাজ বাড়বে’, যোগ করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ নেদারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, ভারত, চীন, কুয়েত, সৌদি আরব, নরওয়ে, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, এশীয় ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), বিশ্ব ব্যাংক, কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সিআইডিএ), ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি), জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারশন (জিআইজেড), ইউনাইটেড ন্যাশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি), আইএমএফ, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এই আয়োজনে অংশ নেন।

বিদেশি প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকেও সরকারের এ একশ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রশংসা করা হয়। তারা এই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০ বছর অতিক্রম করে ফেলছি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে হাত দেয়া হবে। এমন কি সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও হাত দেয়া হবে। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, দুর্যোগ মোকাবিলাসহ এই জাতির জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই পরিকল্পনার আওতায় কাজ করা হবে। নিয়মিত এই পরিকল্পনা নবায়ন করা হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৫৬৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি এবং প্রকল্প ঋণ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এই ১ হাজার ৫৬৪টি প্রকল্পের মধ্যে ২৪৮টি প্রকল্প শতবর্ষী ডেল্টা পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ২৪৮ প্রকল্পে ব্যয় করা হচ্ছে ২১ হাজার ৯১৯ টাকা, যা মোট এডিপির ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ।

ঝালকাঠি আজকাল