• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

কখনও এডিসি কখনও ডিআইজি তিনি

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা দ্বিগুণ করে দেয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রিফাত আহম্মেদ ওরফে রুবন (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

শনিবার রাতে দিনাজপুর জেলার পাহারপুর থেকে রিফাতকে গ্রেফতার করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার মনিটরিং টিম। রিফাত দিনাজপুর কোতয়ালী থানাধীন পাহাড়পুর এলাকার মাহফুজুল হকের ছেলে।
 

তিনি কখনও পুলিশের এডিসি, কখনও ডিআইজি পরিচয়ে আবার কখনও সিআইডি ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েক মাস ধরে ২০/৩০ জনের কাছ থেকে বিকাশ ও রকেট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করে আসছিল বলে দাবি সিআইডির।

রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল বলেন, সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার মনিটরিং টিম বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়মিতভাবে মনিটরিং করে থাকে।

মনিটরিংয়ে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে Rifat Ahamad নামক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার আইডির প্রোফাইল এবং কভার পিকচারে পুলিশের ছবি ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন সময় ফ্রিলান্সিং করার জন্য তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিচ্ছে এবং নিজেকে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার এবং সিআইডির অফিসার পরিচয় দিয়েও পোস্ট দিচ্ছে।

বিষয়টি সাইবার মনিটরিং টিম পর্যবেক্ষণে রেখে তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করতে থাকে। ইতোমধ্যে সিআইডির ফেসবুক পেজে বেশ কয়েকজন ওই ফেসবুক আইডি সম্পর্কে অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে দিনাজপুরের পাহাড়পুর থেকে সাইবার পুলিশ সেন্টারের সিনিয়র এএসপি জুয়েল চাকমা এবং এসএসপি চাতক চাকমার নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই এলাকা থেকেই প্রতারণামূলকভাবে ফেসবুক আইডিটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

মোস্তফা কামাল বলেন, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত জানায়, বেশ কয়েক মাস ধরে ২০ থেকে ৩০ জনের কাছ থেকে কখনও পুলিশের এডিসি আবার কখনও ডিআইজি পরিচয় দিয়ে রকেট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করেছে। আরও কেউ প্রতারিত হয়েছেন কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। কেউ প্রতারিত হলে তাদের সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করা হচ্ছে।

মোস্তফা কামাল আরও বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা দ্বিগুণ করে দেয়ার আশ্বাসে টাকা বিকাশ ও রকেট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে টাকা নেয়ার পর ওই নম্বর ব্লক করে দেয়। পরে ভুক্তভোগীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা দ্বিগুণ করার আশ্বাস কেউ যেন বিশ্বাস না করেন। এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কেউ এমন প্রতারণার শিকার হলে বা প্রলুব্ধ করা হলে যেন সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়। এ ব্যাপারে গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ঝালকাঠি আজকাল