• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

এশিয়ায় দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০১৮  

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)- এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টানা পাঁচ বছর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এশিয়ার দেশগুলোর দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় দেড় বছর ধরে চালানো একটি জরিপ প্রকাশ করেছে টিআই।

সম্প্রতি প্রকাশিত ওই জরিপে দেখা গেছে, এশিয়ার মধ্যে সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার। দুর্নীতির ওই তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় এশিয়ায় দুর্নীতির হার বেশি। সাধারণত বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির বড় বড় ঘটনাগুলো মূলত এশিয়াতেই ঘটে। এশিয়ায় ‘দুর্নীতি’ নামক এই ক্ষতের গভীরতা কতটুকু সেটি খতিয়ে দেখতে টিআই কর্তৃক এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একটি জরিপ চালানো হয়। সম্প্রতি তা প্রকাশও করা হয়েছে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বসে।

টিআই তাদের জরিপে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১৬টি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২০ হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলে। এসব মানুষের প্রতি চারজনের একজন সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে ঘুষ দিয়েছেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। কিছু দেশের মানুষের কাছে দুর্নীতি প্রাত্যহিক জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এশিয়ার পাঁচটি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে এক নম্বরে ভারত এরপর যথাক্রমে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান ও মিয়ানমার রয়েছে। দুর্নীতির এই অভিশাপ থেকে মুক্ত বাংলাদেশ।

জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেক ভারতীয়ই জানিয়েছেন- স্কুল, হাসপাতাল, জাতীয় পরিচয়পত্র, পুলিশসহ প্রতি ছয়টি সরকারি সেবা পেতে পাঁচটিতেই ঘুষ দিতে হয়েছে তাদের। যদিও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘যুদ্ধের’ ফলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ৫২ শতাংশ ভারতীয় মনে করছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার ভালো কাজ করছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান ভারতীয়দের মনোবলও বৃদ্ধি করেছে। ৬২ শতাংশ ভারতীয় মনে করছেন, সাধারণ মানুষই পরিবর্তন আনতে সক্ষম।

ভিয়েতনামের মানুষ দুর্নীতিকে দেখছেন মহামারী হিসেবে। ৬০ শতাংশ মানুষের ধারণা দুর্নীতি দমনে তাদের সরকার সামান্যই কাজ করতে পারছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা নিতান্তই দুর্বল।

পর্যটন নগরী হিসেবে সুপরিচিত থাইল্যান্ড। এই নগরীতেও রয়েছে দুর্নীতির কালো ছায়া। সরকারি দফতরসহ প্রায় সব পর্যায়েই দুর্নীতি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে থাইল্যান্ড। তবে দেশটির বেশিরভাগ মানুষই বেশ আশাবাদী। ৭১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন দুর্নীতি ঠেকাতে বর্তমান সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা যথার্থ।

প্রতিবেশী দেশগুলোর দুর্নীতির এই কালো ছায়া থেকে মুক্ত বাংলাদেশ। দেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ও বর্তমান সরকারের কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দূর হয়েছে দুর্নীতি নামক অভিশাপ। আওয়ামী লীগ সরকারের দক্ষ দিকনির্দেশনার মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।

ঝালকাঠি আজকাল