• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

এনামুল বাছিরের পদোন্নতির আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

মহাপরিচালক হিসেবে পদোন্নতি চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এক রায়ে এনামুল বাছিরের আবেদন খারিজ করে দেন।

মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে এ রায় দেওয়া হয়। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এনামুল বাছিরের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

মহাপরিচালক পদে পদোন্নতির জন্য গতবছর ২ জানুয়ারি এনামুল বাছির হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এই রিট আবেদনে হাইকোর্ট ওইবছরের ২৯ জানুয়ারি এক আদেশে এনামুল বাছিরের জন্য মহাপরিচালকের একটি পদ খালি রাখতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে এনামুল বাছিরকে কেন মহাপরিচালক হিসেবে পদোন্নতি দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। পরবর্তীতে দুদকের আবেদনে গতবছর ১১ জুলাই মহাপচিালকের একটি পদ খালি রাখার আদেশ প্রত্যাহার করেন হাইকোর্ট। তবে রুল বিচারাধীন থাকে। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার তা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমান গতবছর ৮ জুন দাবি করেন, এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন। এরপর ডিআইজি মিজানের সঙ্গে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে গতবছর ১৬ জুলাই মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে গতবছর ১৩ জুনের মধ্যে রমনা পার্কে এই লেনদেনের ঘটনা ঘটে। এ মামলায় গতবছর ২২ জুলাই রাতে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাবন্দি। এ মামলা ঢাকার আদালতে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে। 

উল্লেখ্য, অবৈধভাবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে গতবছর ২৪ জুন ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এনামুল বাছির। একারণেই ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে এনামুল বাছির ঘুষ নেন বলে অভিযোগ।

ঝালকাঠি আজকাল