• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে

পাহাড় ঘুরতে গিয়ে আবিষ্কার করুন কমলালেবু ঘেরা লুকানো গ্রাম

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

শীতে দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবছেন? তাহলে ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিং। একবার ঘুরে দেখতে পারেন। তাহলে ঠকবেন না। সেখানকার পাহাড়ে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে।

বিজ্ঞাপন

দার্জিলিংয়ে রয়েছে উঁচু-নিচু পাহাড়ের ঢাল, আর সেই পাহাড়ের ঢালে রয়েছে চা বাগান আর কমলার গাছ। শীতে গেলে কমলালেবু দেখতে পাবেন। কাছেই মিরিক। পাশেই সুদীর্ঘ লেক। পাইন-ওকের জঙ্গল। এই মেঘে ঢেকে গেল এলাকা। দেড় হাত দুরে কিছুই দেখা যায় না। আবার কয়েক মিনিট। কোথায় কী সব পরিষ্কার। জায়গাটার নাম পালমাজুয়া।

আশপাশ ঘোরার জায়গা

দেখে নিতে পারেন— মিরিক গুম্ফা, টিংলিং ভিউপয়েন্ট ও টিবেটান গুম্ফা। সুমেন্দু লেক ছাড়িয়ে দূরে পাহাড়ের মাথায় গেলে সেখানেই রামেতি ভিউ পয়েন্ট। মেঘ না থাকলে এখান থেকেই দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। কি অপূর্ব দৃশ্য! না দেখলে বিশ্বাসই করা যাবে না যে প্রকৃতি আপন খেয়ালে নিজের রূপ-রং-গন্ধ কীভাবে বদলাচ্ছে।

কাছেই রয়েছে স্কুলদাঁড়া। শান্ত প্রকৃতির মাঝে এক স্বল্পচেনা নৈসর্গিক ঠিকানায় যেতে হলে ঘুরে আসুন লোয়ার মিরিকে। পাহাড়ের ঢালে সবুজে ঘেরা ছোট্ট একটি গ্রাম। গুরুং জনজাতিদের বাস। এদের আতিথেয়তা মন ভরিয়ে দেবে আপনার। লোয়ার মিরিকের এই গ্রামের নাম স্কুলদাঁড়া। বাহারি ফুলের মেলা আর পাখি দেখার আদর্শ ঠিকানা এই স্কুলদাঁড়া। চেনা মিরিকের কাছে অল্পচেনা স্কুলদাঁড়া অজ্ঞাতবাসের এক সেরা ঠিকানা।

পালমাজুয়া

কুয়াশা আর মেঘ তো পাহাড়ে দেখাই যায়। মেঘ উড়ে আসে এলাকার বাড়িতে বাড়িতে। নির্জন এই পাহাড়িয়া গ্রামে হাঁটলেই কুয়াশার চাদর যেন আষ্টেপৃষ্ঠে গায়ে জড়িয়ে ধরে। রোদ উঠলেই আবার বদলে যায় চেহারা। ঘন নীল আকাশের নিচে পাইন, ওক, বারচ, ধুপির ঠাসবুনোটে মোড়া এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম পালমাজুয়া। কাছেই রয়েছে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান। তার কাছেই পালমাজুয়া ভিউ পয়েন্ট। চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কপাল ভালো থাকলে রেডপাণ্ডাও দেখতে পাবেন। এখানে রয়েছে মাছ ধরার বন্দোবস্ত। শিরিখোলায় নিজেই মাছ ধরে ভেজে খেতে পারেন।

কীভাবে যাবেন?

সবার আগে অবশ্যই আপনাকে পশ্চিমবঙ্গে যেতে হবে। দমদম বা শিয়ালদহ/হাওড়া থেকে ট্রেনে/বিমানে এনজেপি। সেখান থেকে গাড়িতে সরাসরি চলে আসা যায় মিরিক। দূরত্ব ৬০ কি.মি.।

কোথায় থাকবেন?

রয়েছে জিটিএ মিরিক ট্যুরিস্ট লজ (০৩৫৪-২২৪৩৩৭১/৭২) ভাড়া ১,৫০০ টাকা।

বেসরকারি হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল জগজিৎ (২২৪৩২০৫) ভাড়া ২,২০০-৫,০০০ টাকা। সদ্ভাবনা (২২৪৩৬৫১) ভাড়া ১,৩৫০-১,৫০০ টাকা। দি পার্ক (২২৪৩৩১৯) ভাড়া ১,৩৫০-২,৩৫০ টাকা।

স্কুলদাঁড়ায় থাকার জন্য রয়েছে রাংভাং হোমস্টে ( ০৯৮৩২৯-১৩৬১৭) ভাড়া ১,২৫০ টাকা। খাওয়া জনপ্রতি ৫০০ টাকা। রোধীঘর হোমস্টে (০৯৮৩২৬৩০৩৩০) ভাড়া ১,২৫০ টাকা। খাওয়া জনপ্রতি ৫০০ টাকা।

ঝালকাঠি আজকাল