• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

জিলহজ মাসের আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নিয়ম

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২১  

জিলহজ মাসে পবিত্র হজ ও কুরবানি অনুষ্ঠিত হয়। এ মাসেই আইয়ামে তাশরিক মোট ৫দিন। ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত তাকবির পড়তে হয়। হাদিসে পাকে এ দিনগুলোকে পানাহার ও জিকিরের দিন বলা হয়েছে। তাহলে এ মাসে আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নিয়ম-পদ্ধতি কী?

বছরে মোট ৫ দিন রোজা রাখা নিষেধ। তাহলো- ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং আইয়ামে তাশরিকের তিন দিন। ঈদুল আজহার পরের তিন দিন তথা জিলহজ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে 'আইয়ামে তাশরীক' বলা হয়। হাদিসে পাকে এ দিনগুলোকে ‘পানাহার ও আল্লাহর জিকির’-এর দিন বলা হয়েছে। এ তিন দিন ফরয বা নফল রোযা রাখা নিষেধ। হাদিসে এসেছে-

১. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা ও হজরত ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তাঁরা উভয়ে বলেন, যে (হাজি)র নিকট الهَدْيَ/ কুরবানির পশু নেই তিনি ছাড়া অন্য কারও জন্য আইয়্যামে তাশরিকে রোজা পালন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ (বুখারি)

২. হজরত নুবাইশা আল-হুজালি রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আইয়ামে তাশরিক পানাহার ও আল্লাহর জিকিরের দিন। (জামে)

৩. হজরত হাম বিন আমর আল আসলামিন রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, ‘তোমরা এই দিনগুলোতে রোজা রাখিও না। কেননা, এগুলো পানাহারের দিন।’ (জামে)

সুতরাং এ দিনগুলোতে কাযা, কাফফারা, মানত বা অন্য কোন ধরণের নফল রোযা রাখা বৈধ নয়। শুধু হাজিদের বিশেষ ক্ষেত্রে রোজা রাখার বিষয়টি ভিন্ন।

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার পদ্ধতি
আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ 'আইয়ামে বিজ' বলা হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রতি মাসে এই তিনটি রোজা রাখলে সারা মাস রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু জিলহজ মাসের ১৩ তারিখ যেহেতু আইয়ামে তাশরীক এর অন্তর্ভুক্ত সেহেতু ওই দিন রোজা‌ রাখা জায়েজ নেই।

সে কারণে জিলহজ মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখে এবং ১৩ তারিখের পরিবর্তে ১৬ তারিখ বা অন্য যেকোনো দিন রোজা রাখা যাবে। তাহলেও সারা মাস রোজা থাকার সওয়াব পাওয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ।

সুতরাং যারা জিলহজ মাসের আইয়ামে বিজের রোজা রাখতে চান, তাদেরকে অবশ্যই ১৩ জিলহজ (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে সাহরি খেয়ে ১৪ জিলহজ মোতাবেক ২৫ জুলাই রোজা পালন করবেন। সেক্ষেত্রে আগামী ২৪-২৬ জিলহজ মোতাবেক ১৪-১৬ জিলহজ আইয়ামে বিজের রোজা পালন করা যাবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ দিনগুলোতে আইয়ামে বিজের রোজা রাখার তাওফিক দান করুন।আমিন।

ঝালকাঠি আজকাল