মুহাম্মাদ (সা.) যে স্থানকে জান্নাতের বাগান বলেছেন
আল্লাহর কাছে বান্দার যৌবনের ইবাদত সবচেয়ে বেশি প্রিয়। নারী হোক কিংবা পুরুষ, সবার ক্ষেত্রেই একই কথা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি (মুসা আলাইহিস সালাম) যখন পূর্ণ যৌবনে পৌছিলেন, তখন তাকে প্রজ্ঞা ও বুৎপত্তি দান করলাম।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ১৪)
এ বয়সের ইসলামের অনুসরণকারীরা কিয়ামতের ময়দানে পাবেন মহান রবের আরশের বিশেষ ছায়া। তাই যুবক-যুবতির জন্য সালাফে সালেহিনগণ জীবনঘনিষ্ঠ বেশকিছু বিশেষ নসিহত তুলে ধরেছেন। যে উপদেশ ও করণীয়গুলো মেনে চলায় দুনিয়া ও পরকালের সফলতা সুনিশ্চিত। সে উপদেশ ও করণীয়গুলো কী?
যৌবনের উম্মাদনায় হে টগবগে যুবক-যুবতি! এখনই সময়-নিজেকে গড়ার; ইবাদত-বন্দেগি করার; নিয়মিত নামাজ আদায় করার। সুখময় জান্নাতের চিরস্থায়ী অবস্থান নিশ্চিত করার সময়ও এখনই। কোনো যুবক-যুবতির জন্যই এ বয়সে অলসতা ও বিলাসিতা করার সময় নয়। বরং অলসতা ও বিলাসিতা ত্যাগ করে যৌবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ও শ্রমকে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণময় কাজে ব্যয় করা জরুরি।
মনে রাখা জরুরি যে, দুনিয়ার মোহ-ই মানুষের যৌবনের এ মূল্যবান সময়কে বিলাসিত ও অলসতার কারণে ধ্বংস করে দেয়। তাই যুবক-যুবতিদের এ যৌবন বয়সে সালাফে সালেহিনদর উপদেশ ও দিকনির্দেশনা থেকে শিক্ষা নেয়া জরুরি। তাহলো-
১. হজরত আবুদ দারদা (রা.) বলেন, ‘তোমরা যেভাবে কথা বলতে শিখাও অনুরূপ চুপ থাকাও শিখাও। কেননা, চুপ থাকা বড় সহনশীলতা।’ (মাকারিমুল আখলাক)
২. আল্লামা ইবনুল জাওযি (রাহ.) বলেন, ‘তুমি তোমার নিজের অবস্থার প্রতি দৃষ্টি দাও। তোমার অবস্থা যদি এই হয় যে, তুমি মৃত আর কবরের জন্য প্রস্তুত; তবে তাতেই অবস্থান অব্যাহত রাখো। আর যদি তোমার অবস্থা হয়ে থাকে এমন যে, এই দু’টির কোনোটির জন্যই তুমি উপযোগী নও; তবে এই অবস্থা থেকে আল্লাহর দিকে তাওবাহ কর এবং ফিরে যাও সেদিকে যা তার জন্য উপযোগী।’ (বুস্তানুল ওয়ায়েজিন)
৩. হজরত সুফিয়ান সাওরি (রাহ.) বলেন, ‘যখন তুমি আল্লাহর পথে তোমার ভাইকে ভালোবাসবে; তখন তার জন্য তোমার নফস ও সম্পদ ব্যয় করবে। আর ঝগড়া, মতানৈক্য এবং সন্দেহ-সংশয় থেকে বেঁচে থাকবে। সর্বাবস্থায় তোমার ওপর ধৈর্যধারণ করা জরুরি। কেননা, ধৈর্যই নেক আমলের দিকে টেনে নিয়ে যায় আর নেক আমল টেনে নিয়ে যায় জান্নাতে।’ (হিলইয়াতুল আওলিয়া)
৪. হজরত ইবনু হিব্বান (রাহ.) বলেন, ‘আহমক বা বোকার মাঝে সবচেয়ে বড় আহমকি বা বোকামির আলামত হলো- তার মনে যা উদয় হয়, তার জিহ্বা তা-ই বলে দেয়।’ (আর রাওদাহ)
৫. ইমাম হাসান বসরি (রাহ.) বলেন, ‘মানুষ তোমাকে সম্মান করতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তাদের কাছে যা আছে তা গ্রহণ না করবে। সুতরাং যখন তুমি তা করবে তখন তোমাকে অবজ্ঞা করবে; বিদ্বেষ পোষণ করবে এবং তোমার কথাকে অপছন্দ করবে।’ (হিলইয়াতুল আওলিয়া)
৬. হজরত শামিত বিন আজলান (রাহ.) বলেন, ‘হে আদম সন্তান! যতক্ষণ তুমি চুপ থাক ততক্ষণ নিরাপদ থাক। আর যখনই কথাবলা শুরু কর, সতর্কতা অবলম্বন কর যে- যে যা বলছ তা কি তোমার জন্য উপকারী নাকি তোমার বিপক্ষে যাবে।’ (জামিউল উলুমি ওয়াল হিকাম)
৭. হজরত ইবনু হিব্বান (রাহ.) আরও বলেন, ‘অল্পে তুষ্টি অন্তরে আসে। অতএব যার মন ধনী হয়ে যায় তার হাতও ধনী হয়ে যায়। আর যার মন গরীব থাকে তার প্রাচুর্য তার কোনো কাজে আসে না। আর যে ব্যক্তি অল্পে তৃপ্ত হয়ে যায় সে বিরাগ হয়না এবং প্রশান্তি ও আরামের জীবন যাপন করে। আর যে ব্যক্তি অল্পে তৃপ্ত হয়না; আগ্রহের কারণে তার জন্য মৃত্যুর সময় পরিশেষে অবশিষ্ট কোনো কিছু থাকে না । আর চেষ্টা ও বঞ্চিত হওয়া বান্দার মাঝে কেমন যেন লড়াই করে।’ (রওদাতুল ওকালা)
৮. আল্লামা ইবনু হাজার আসকালানি (রাহ.) বলেন, ‘মুমিন সবসময় ভীত-সন্ত্রস্ত ও (মোরাক্কাব) নিজের অবস্থার ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। নিজের নেক আমলকে ছোট ও তুচ্ছ মনে করে আর সামান্য বদ আমলের ব্যাপারেও ভয়ে থাকে।’ (ফাতহুল বারি)
৯. হজরত ইবনুল আরাবি (রাহ.) বলেন, ‘যখন বান্দা অধিক বিদ্বেষী-ঈর্ষাপরায়ণ, হিংসুটে, অহমিকাপূর্ণ এবং অহংকারী হয় তখন তার অন্তর নিরাপদ থাকে না। অথচ রাসূলুল্লাহ (সা.) ঈমানের ক্ষেত্রে শর্ত করে দিয়েছেন যে, নিজের ব্যাপারে যা পছন্দ করে তার অপর ভাইয়ের ব্যাপারেও তা-ই পছন্দ করবে।’ (আহকামুল কুরআন-লিইবনিল আরাবি)
১০. হজরত ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি (রাহ.) বলেন, ‘যাকে ঈর্ষা করা হয়না তার মাঝে কোন কল্যাণ নেই।’ (আলমুগনি)
১১. ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহ.) বলেন, ‘সব ফাসাদের উৎসমূল হচ্ছে প্রবৃত্তির অনুসরণ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা। কেননা জানা ও ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রবৃত্তির অনুসরণ ব্যক্তিকে সত্যপথ থেকে অন্ধ করে দেয়। আর উচ্চাকাঙক্ষা পরকালকে ভুলিয়ে দেয় এবং পরকালের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বাধা দেয়।
তবে ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহ.) বলেন, প্রত্যেকের জন্যই এ কাজগুলো বৃথা হবে; যদি তা কোনো উপকারে না আসে। আর তাহলো-
১. এমন ইলম; যার অনুসরণে কোনো আমল করা হয় না।
২. এমন আমল; যার মাঝে ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা নেই।
৩. এমন সম্পদ; যা থেকে (আল্লাহর রাস্তায়) খরচ করা হয় না।
৪. এমন অন্তর; যা আল্লাহর ভালোবাসা থেকে পুরোপুরি উদাসীন।
৫. এমন শরীর ও মন; যা আল্লাহর আনুগত্য থেকে বেকার।
৬. এমন সময়; যা নেক আমল করার মাঝে কাজে লাগানো থেকে বেকার।
৭. এমন চিন্তাভাবনা; যা উপকারহীন বিষয়ের মাঝে ঘুরে বেড়ায়।
৮. এমন ব্যক্তির সেবা যত্ন করা; যার সেবাযত্ন তোমাকে আল্লাহর কাছাকাছি করে না এবং তোমার দুনিয়া সংশোধন করার দিকে ফিরিয়ে নিয়ে না যায়।
৯. তোমার ভয় ও আশা ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে যার কপাল আল্লাহর হাতে। (আল ফাওয়ায়িদ)
যৌবনের করণীয়
১. নিয়মিত নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত এবং সাধ্যমতো নফল রোজার আমল করা।
২. ইলমে দ্বীনের শিক্ষা গ্রহণকারী ওস্তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকা।
৩. যৌবনই প্রত্যেক মানুষের প্রকৃত সম্পদ।
৪. ইলম অনুযায়ী আমল করা এবং দাওয়াতি কাজ করা। কেননা ইলমের বরকত হলো আমল ও দাওয়াত।
৫. পরকালকে নিরাপদ রেখেই দুনিয়ার কাজ করা।
৬. নিজেকে যুবক-যুবতি ভেবে নিরাপদ মনে করার কোনো কারণ নেই, যৌবনেও অনেককে মৃত্যুর স্বাদ নিতে দেখা যায়।
৭. যৌবন বয়সই ইলমে দ্বীন ও জ্ঞানার্জন ও আমলের জন্য সর্বোত্তম সময়।
৮. হালালভাবে আয়-উপার্জনের সর্বোত্তম সময়ও যৌবনকাল।
৯. যৌবনই মসজিদে নামাজ আদায়ের সর্বোত্তম সময়। যুবকরাই মসজিদ আবাদের অনন্য কারিগর।
১০. পরস্পরের মাঝে পুরিপূর্ণ সালাম বিনিময়ই হোক যৌবনের অভ্যর্থনার অন্যতম মাধ্যম।
১১. ইবাদত-বন্দেগি, আয়-রোজগার কিংবা পড়াশোনা- এ সবে যৌবনের শক্তিমত্তাকে কাজে লাগানো।
সুতরাং যৌবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টি কাজে লাগানো সব যুবক-যুবতির জন্য একান্ত আবশ্যক। যাতে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা সুনিশ্চিত। আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর সব যুবক-যুবতিকে উল্লেখিত উপদেশ ও কাজগুলো যথাযথভাবে মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ঝালকাঠি আজকাল- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- সাদা পোশাক ঘেমে হলদেটে হয়ে গেলে কী করবেন?
- বানিয়ে ফেলুন ৪ স্বাদের লাচ্ছি
- সরকারি ক্রয় আইন পরিবর্তনের সুপারিশ
- সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নিন
- প্লাস্টিক বর্জ্যে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীরা পড়বেন ব্ল্যাকলিস্টে
- বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
- আইফোন ১৬-তে যেসব নতুন ফিচার থাকছে
- শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতের শিক্ষক পাবে প্রাথমিক স্কুল
- সাত দিনে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল ৭ মে পর্যন্ত
- চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী
- শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ সৎবাবার বিরুদ্ধে
- বরিশালে বেহুন্দি জালসহ ২ জেলে আটক
- উজিরপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কীম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- পটুয়াখালীর মুগডাল যাচ্ছে জাপানে
- তৃতীয় বিয়ে করছেন শাকিব, এর মাঝেই আইনি ব্যবস্থার কথা বললেন বুবলী
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উন্নতিতে বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত
- জি কে শামীমের জামিন ঘিরে ফের প্রতারণা
- ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১
- উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠনের নির্দেশ ইসির
- প্রথম ধাপের ভোটে ১৪১ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন আজ
- এএসপি পদে পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৪ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত
- সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে
- ছদ্মবেশে গাজীপুর ও নীলফামারীর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
- প্রতিভা বিকাশে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না : টুকু
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- গরমে গাড়ির টায়ারের জন্য কোন বাতাস উপকারী?
- প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ
- অনলাইনে ছবি শেয়ার করাও বিপজ্জনক হতে পারে
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগে দেশীয় পণ্য আজ বিদেশে সমাদৃত: আমির হোসেন আমু
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- গরমে বাড়ে যেসব চর্মরোগ
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- প্রিজন সেলে হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
- কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন
- হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না?
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- রাজাপুরে চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ