যেভাবে আশুরা পালন করতেন রাসূল (সা.)
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা তাঁর কুদরতী শক্তি দ্বারা অলৌকীক ভাবে এ বিশ্ব জগৎ ও এর মধ্যকার বস্তু সমূহ সৃষ্টি করেন। মানুষকে করেন সৃষ্টির সেরা জীব। অতঃপর নবী মোহাম্মদ (সা.) এর নিকট পবিত্র কোরআনুল কারিম নাজিল করে তাঁর কুদরতের নানাবিধ রহস্য প্রকাশ করেছেন।
আরবি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ দশ। আর আশুরা মানে দশম। ইসলামি পরিভাষায়, মহররমের ১০ তারিখকে ‘আশুরা’ বলে।
‘আশুরা’ বা মহররমের ১০ তারিখ রহস্যময় ও ঘটনাবহুল দিবস। সুতরাং এই দিবসটি যেমনি ইবাদতের তেমনি শিক্ষা গ্রহন করার মতো তাৎপর্যপূর্ণও।
এ দিবসে মহান আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেন। এ দিবসে হজরত আদম (আ.) এর প্রার্থনা মঞ্জুর করা হয়। এ দিবসে হজরত নুহ (আ.) এর কিস্তি মহা প্লাবন শেষে জমিনে লাগে। নবী আইয়ুব (আ.) রোগ থেকে মুক্তি লাভ করেন, এ দিনে ইউনুছ (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান, এই দিবসে হজরত মুসা (আ.) তার অনুসারীদেরকে নিয়ে ১২ টি অলৌকিক ভাবে তৈরি হওয়া রাস্তা দিয়ে নীল নদ পার হন এবং ফেরাউন তাকে তাড়া করতে গিয়ে নদীতে স্ব-দলবলে ডুবে মারা যায়। এ দিবসে হজরত ইসা (আ.) জন্মগ্রহণ করেন। সর্বশেষ ইসলামের ইতিহাসে কারবালার ঘটনা এক গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়ের সৃষ্টি করে এই দিনে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ইয়াজিদের বশ্যতা স্বীকার না করে এক অসম যুদ্ধের মাধ্যমে ৬১ হিজরির ১০ মহররম আত্মবিসর্জন দিয়ে শাহাদাৎ বরন করেন। যা এক বিরল দৃষ্টান্ত। সেদিন ফোরাত নদীর পারে কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইন (রা.) তার শিশু পুত্রসহ ৭২ জন সাথীকে নির্দয়ভাবে শহিদ করেছিল ইয়াজিদের সিমারের দল। পাষণ্ডরা সেদিন ইসলামের ওপর কলঙ্কজনক ইতিহাস রচনা করেছে। সত্য ও ন্যায়ের অতন্ত্র প্রহরী ইমাম হোসাইন (রা.) এর পরিবারবর্গ সেদিন অকাতরে রক্তের সাগর প্রবাহিত করে ইসলামি জীবন ব্যবস্থার বিজয়ের লক্ষ্যে বীজবপন করে গেল। তাদের উৎস্বর্গীকৃত জীবন ইসলামের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়েছে। ১০ মহরম সেদিন কারবালায় যে ইতিহাস রচিত হলো তার পটভূমিকাও ব্যাপক, মহান রাববুল আলামিনের এই রহস্যময় সৃষ্টিকল্পের সৃষ্টির লগ্ন থেকেই ১০ মহররম ছিল তদানিন্তন ইতিহাসের স্বাক্ষর।
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এই মহররম আল্লাহপাক ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ রুপে প্রতিষ্ঠিত করেছেন…
> আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে ১০ মহররম।
> ১০ মহররম আদম (আ.)-কে বেহেশতে প্রবেশ করানো হয়েছে ।
> আশুরাতেই আদম (আ.)-কে বেহেশত থেকে দুনিয়ায় প্রেরণ করা হয়েছে।
> আদম (আ.) এর তওবা কবুল করা হয় এই আশুরাতেই।
> মা হাওয়া (আ.) এর সঙ্গে আদম (আ.) পুনরায় সাক্ষাত হয় এই ১০ই মহররম।
> আসমান-জমিন সৃষ্টি করা হয়েছে মহররম মাসেই।
> আরবের জাহেলরাও মহররম মাসটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিত।
> চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, সাগর-মাহাসাগর সৃষ্টি করা হয় এই মহররম মাসেই।
> আশুরাতেই জন্ম গ্রহণ করেন ইব্রাহিম (আ.)।
> আশুরাতেই হজরত মুসা (আ.) এবং আল্লাহ পাকের মধ্যে কথোপকথোন হয়েছিল।
> হজরত মুসা (আ.) এর উপর তৌরাত কিতাব নাজিল হয়েছিল এই আশুরাতেই।
> আশুরাতেই মুসা (আ.) তার সাথীদের নিয়ে নীল নদ পার হন এবং ফেরাউন বাহিনী পানিতে ডুবে মরে।
> হজরত আইয়ুব (আ.) দীর্ঘ ১৮ বছর কঠিন রোগ ভোগের পর সুস্থ হয়ে উঠেন এই আশুরাতেই।
> হজরত সোলায়মান (আ.) পুনঃ বাদশাহী লাভ করেন আশুরাতেই।
> আশুরাতেই দাউদ (আ.) এর তওবা কবুল করা হয়।
> হজরত ইউছুফ (আ.) তার পিতা হজরত ইয়াকুব (আ.) এর সঙ্গে মিলিত হন এই আশুরাতেই।
> হজরত ইসা (আ.) জন্ম গ্রহণ করেন আশুরাতেই।
> হজরত ইসা (আ.)-কে আল্লাহপাক সশরীরে আসমানে তুলে নেন এই আশুরাতেই।
> আশুরাতেই আল্লাহপাক হজরত ইদ্রিস (আ.)-কে জীবিত করেন এবং তাকে জান্নাতে উঠিয়ে নেয়া হয়।
> হজরত নুহ (আ.) এর জাহাজ চল্লিশ দিন পর পাহাড়ের কিনারে ভিড়ে আশুরাতেই।
> আশুরাতেই হজরত নুহ (আ.) জমিনে অবতরণ করেন।
> আশুরাতেই উম্মতে মুহাম্মদীর গুনাহ মাফ হয়।
> জিব্রাইল (আ.) আশুরাতেই দুনিয়াতে আগমন করেন।
> আল্লাহপাক দুনিয়াতে প্রথমবার রহমত নাজিল করেন ও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন আশুরাতেই।
> হজরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে বের হয়ে আসেন আশুরাতেই।
বর্তমানে দেখা যায় প্রায় সব মহল থেকে আশুরার মূল বিষয় বলে কারবালার ঘটনাকেই বুঝানো হচ্ছে। কিন্তু কোরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিকোণ থেকে এটা সঠিক নয়। ইসলামের আগমনের পূর্বে আশুরা ছিল। যেমন আমরা হাদিস দ্বারা জানতে পেরেছি। তখন মক্কার মুশরিকরা যেমন আশুরার সওম পালন করত তেমনি ইহুদিরা মুসা (আ.) এর বিজয়ের স্মরণে আশুরার সওম পালন করত।
আল্লাহর রাসূল (সা.) আশুরার সওম পালন করেছেন জীবনের প্রতিটি বছর। তাঁর ইন্তেকালের পর তার সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আশুরা পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর ইন্তেকালের প্রায় পঞ্চাশ বছর পর হিজরী ৬১ সালে কারবালার ময়দানে জান্নাতি যুবকদের নেতা, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রিয় নাতী সাইয়েদুনা হুসাইন (রা.) শাহাদাত বরণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে মুসলিম উম্মাহর জন্য এটা একটা হৃদয় বিদারক ঘটনা। ঘটনাক্রমে এ মর্মান্তিক ইতিহাস এ আশুরার দিনে সংঘঠিত হয়েছিল।
আল্লাহর রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম যে আশুরা পালন করেছেন ও যে আশুরা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য রেখে গেছেন তাতে কারবালার ঘটনার কোনো ভূমিকা ছিল না। থাকার প্রশ্নই আসতে পারে না। কারবালার এ দুঃখজনক ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর আল্লাহর রাসূল (সা.) এর সাহবাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.), আব্দুল্লাহ বিন উমার (রা.), আব্দুল্লাহ বিন আমর (রা.), আনাস বিন মালেক (রা.), আবু সাঈদ খুদরী (রা.), জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রা.), সাহল বিন সায়াদ (রা.), যায়েদ বিন আরকাম (রা.), সালামাতা ইবনুল আওকা (রা.)-সহ বহু সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম জীবিত ছিলেন। তারা তাদের পরবর্তী লোকদের চেয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর পরিবারবর্গকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। তারা আশুরার দিনে কারবালার ঘটনার কারণে কোনো কিছুর প্রচলন করেননি। মাতম, তাযিয়া মিছিল, আলোচনা সভা কোনো কিছুরই প্রমাণ পাওয়া যায় না।
আল্লাহর রাসূল (সা.) যেভাবে আশুরা পালন করেছেন তারা সেভাবেই তা অনুসরণ করেছেন।
অতএব, আমরা কারবালা কেন্দ্রিক যে আশুরা পালন করে থাকি, এ ধরনের আশুরা না রাসূলুল্লাহ (সা.) পালন করেছেন, না তাঁর সাহাবায়ে কেরাম। যদি এ পদ্ধতিতে আশুরা পালন আল্লাহর রাসূলের মুহব্বাতের পরিচয় হয়ে থাকত, তাহলে এসব বিজ্ঞ সাহাবারা তা পালন থেকে বিরত থাকতেন না, তারা সাহসী ছিলেন। তারা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করতেন না। কিন্তু তারা তা করেননি। তাই যে সত্য কথাটি আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি, তা হলো আশুরার দিনে কারবালার ঘটনার স্মরণে যা কিছু করা হয় তাতে আল্লাহর রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবাদের রেখে যাওয়া আশুরাকে ভুলিয়ে দিয়ে এক বিকৃত নতুন আশুরা প্রচলনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।
আশুরার দিনে সাইয়েদুনা হুসাইন বিন আলী (রা.) এর শাহাদাত স্মরণে যে তাজিয়া মিছিল করা হয়, যে মাতম করা হয়, আলোচনা সভার ব্যবস্থাসহ যা কিছু করা হয় এর সঙ্গে ইসলামি শরীয়তের কোনো সম্পর্ক নেই।
কারণ:
রাসূলুল্লাহ (সা.) কারো জন্ম বা মৃত্যু দিবস অথবা শাহাদত দিবস পালন করেননি। তারপরে তাঁর সাহাবায়ে কেরাম এ ধরনের কোনো আমল করেননি। কেউ বলতে পারেন কারবালার ঘটনা যদি রাসূলে করিম (সা.) এর জীবদ্দশায় হত তাহলে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে এর স্মরনে শোক ও মাতম ইত্যাদির ব্যবস্থা করে যেতেন।
আসলে এ ধারনা একেবারেই বাতিল। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জীবনে অনেক মর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর প্রিয়তমা সহধর্মীনি খাদিজা (রা.) এর ইন্তেকাল তাকে সহ্য করতে হয়েছে। সাহাবিয়া সুমাইয়া (রা.) শাহাদত বরণ প্রতক্ষ করতে হয়েছে। রাসূলের (সা.) সামনে তাঁর একাধিক সন্তান ইন্তেকাল করেছেন। উহুদের যুদ্ধে তার প্রিয় চাচা ও দুধ ভাই হামযা (রা.) শাহাদত বরণ করেছেন। তিনি তার যে কত প্রিয় ছিলেন ও তার শাহাদতে তিনি যে কতখানি মর্মাহত হয়েছিলেন সীরাত পাঠক মাত্রই তা অবগত আছেন। তেমনি মুস‘আব বিন উমায়ের (রা.)-সহ অনেক প্রিয় সাহাবি শহিদ হয়েছেন। তিনি তাদের জন্য অনেক ক্রন্দন করেছেনে। এমনকি ইন্তেকালের কয়েকদিন পূর্বে তিনি উহুদের ময়দানে তাদের কবর যিয়ারত করতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। সেখানে তাদের জন্য দোয়া করেছেন। কিন্তু তাদের কারো জন্য তিনি শোক দিবস পালন করেননি।
উহুদ যুদ্ধের পর তিনি এক অঞ্চলের অধিবাসীদের দাবির কারণে তাদেরই দ্বীনে ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্য তাঁর প্রিয় সাহাবিদের মধ্য থেকে বাছাই করে শিক্ষিত সত্তর জন সাহাবীকে সে অঞ্চলের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু ‘বিরে মাউনা’ নামক স্থানে শক্ররা আক্রমন করে তাদের সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের মাত্র একজন জীবন নিয়ে মদিনায় ফিরে এসে এ নির্মম ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। এ ঘটনায় রাসূলুল্লাহ (সা.) এত ব্যথিত ও মর্মাহত হলেন যে, রাহমাতুললিল আলামিন হয়েও হত্যাকারীদের শাস্তি ও ধ্বংশ কামনা করে তিনি বহু দিন যাবত তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করতে থাকলেন। কোথায়! তিনি তো এ সব মহান শহিদানের জন্য কোনো দিবস পালন করতে নির্দেশ দিলেন না। প্রতি বছর শোক দিবস পালন করতে বললেন না।
মুতার যুদ্ধে তার তিনজন প্রিয় সেনাপতি সাহাবি শাহাদত বরণ করলেন। যায়েদ বিন হারিসা (রা.) জা‘ফর বিন আবি তালিব (রা.) ও আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা (রা.)। আরো অনেকে। যায়েদ বিন হারেসা (রা.)-কে আল্লাহর রাসূল (সা.) অত্যন্ত ভালোবাসতেন। রাসূলুল্লাহর ভালোবাসার স্বীকৃতি হিসেবে সবাই তার উপাধি দিয়েছিল ‘হিব্বু রাসূলিল্লাহ’। ইসলামের দাওয়াতের শুরু থেকে তিনি সর্বদা আল্লাহর রাসূল (সা.) এর সঙ্গে ছায়ার মতো থাকতেন। আর জা‘ফর বিন আবি তালিব রাসূলুল্লাহর চাচাতো ভাই ছিলেন। তিনি আলী (রা.) এর আপন ভাই ও সাইয়েদুনা হুসাইন (রা.) এর আপন চাচা ছিলেন। আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা (রা.) রাসূলের ঘনিষ্ঠ সাহাবিদের একজন ছিলেন। তাদের শাহাদাতের খবর মদিনাতে পৌঁছার পর রাসূলে কারিম (সা.) কতখানি শোকাবিভূত হয়ে পড়েছিলেন সীরাত ও ইসলামি ইতিহাসের পাঠক তা ভালোভাবে জানেন। রাসূলে কারিম (সা.) কি তাদের জন্য শোক দিবস চালু করেছিলেন? না প্রচলন করতে বলেছিলেন? কখনো তা করেননি।
তারা তো ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই যুদ্ধ করেই জীবন দিয়েছিলেন। এ সব মহাপ্রাণ সাহাবীদের সঙ্গে তাঁর যেমন ছিল আতত্নীয়তার সম্পর্ক তেমনি ছিল দ্বীনে ইসলামের সম্পর্ক। কেহ বলতে পারবেন না যে, তিনি তাদের কম ভালোবাসতেন। তারপরও তিনি তাদের জন্য প্রতি বছর শোক পালনের ব্যবস্থা করলেন না।
এমনি ভাবে রাসূলে কারিম (সা.) এর ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কেরাম কতখানি ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছিলেন তা হাদিস ও ইতিহাসের কিতাবে সবিস্তারে বর্ণিত আছে। তারা তো প্রতি বছর দিবস পালনের প্রথা প্রচলন করলেন না।
এরপরে ওমর (রা.) শহিদ হলেন, উসমান (রা.) শহিদ হলেন, শাহাদত বরণ করলেন হজরত আলী (রা.)। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম কারো জন্য শোক দিবস পালন করলেন না।
কারো জন্ম দিবস বা মৃত্যু দিবস অথবা শাহাদত দিবস পালন ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলামের কথা হলো মানুষ মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে, ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে তার আমল বা কর্মের মাধ্যমে। বছরে একবার দিবস পালন করে কাউকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।
তাই তো দেখবেন কত নবী-রাসূল, সাহাবা, ইমামরা, আওলিয়া, ন্যায় পরায়ন বাদশা, মনীষি রয়েছেন যাদের জন্য জন্ম বা মৃত্যু দিবস পালিত হয় না। কিন্তু তারা কি মানুষের হৃদয় থেকে বা ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে গেছেন? না, তারা মানুষের হৃদয় দখল করে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন এবং থাকবেন।
ঝালকাঠি আজকাল- ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
- কালো চশমা পরা বিএনপি দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না: ওবায়দুল কাদের
- ইমোতে প্রতারণার ফাঁদ, বিবস্ত্র ভিডিও দিয়ে করা হতো ব্ল্যাকমেইল
- এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারে যে সতর্কবার্তা মন্ত্রণালয়ের
- মে মাসের শেষে জোড়া লাগবে সিঙ্গাপুরে ছিঁড়ে যাওয়া সাবমেরিন ক্যাবল
- চট্টগ্রামে ৬০০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ
- পটুয়াখালীর দুই ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
- নাতির হাত ধরে ভোটকেন্দ্রে ১০৫ বছরের বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ
- এ বছরই শাকিবের বিয়ে, পাত্রী খুঁজছে পরিবার
- বরিশালে আল্লাহর রহমত কামনায় ইসতেসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়
- একটা জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি আহসান হাবিব
- আগৈলঝাড়ায় মাদক সেবীকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
- আদালতের বারান্দা থেকে পালিয়ে গেল হত্যা মামলার আসামি
- শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগে দেশীয় পণ্য আজ বিদেশে সমাদৃত: আমির হোসেন আমু
- মোটরসাইকেল চলবে মহাসড়কের সার্ভিস লেনে
- পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ করতে সিটি কর্পোরেশন ও পৌর মেয়রদের নির্দেশ
- তাপমাত্রা বাড়লেই কমছে ট্রেনের গতি
- শেখ জামালের জন্মদিনে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
- আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগের দুই বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ
- পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
- উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের প্রভাব খাটানোর প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা
- উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন
- আবহাওয়া অনুকূলে, হাওরের কৃষকের মুখে হাসি
- ফের জোড়া গোল মেসির, বড় জয় মিয়ামির
- আবারও জীবিত দুই জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
- মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার
- মরিশাসের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট
- গরমে গাড়ির টায়ারের জন্য কোন বাতাস উপকারী?
- প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ
- অনলাইনে ছবি শেয়ার করাও বিপজ্জনক হতে পারে
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- গরমে বাড়ে যেসব চর্মরোগ
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- প্রিজন সেলে হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- বিয়ে করলেন জোড়া লাগা ২ বোন, স্বামী একজনই
- কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন
- রাজাপুরে চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ
- পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের প্রথম সাক্ষী হলো মেক্সিকো
- বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের নতুন তালিকা প্রকাশ করলো ফোর্বস