• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

কল্যাণের পথে আপনাকে স্বাগতম

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 

সুখ, শান্তি ও সফলতা আল্লাহপ্রদত্ত জিনিস। এখানে টাকা আর ক্ষমতার প্রাচুর্যতা অপ্রাসঙ্গিক। অথচ আমরা ভুল পথে হেঁটেছি, হাঁটছি। শান্তি পাওয়া যায় যেখানে, সেখানে না খুঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি অন্যখানে। ফলে দিকভ্রান্ত অবস্থায় অপদস্থ ও লাঞ্ছিত হয়েছি। এরচেয়ে মহৎ কিছু অর্জন করতে পারিনি। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, তোমাদের কাছে মহান আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে চায় এর দ্বারা তিনি তাদের শান্তির পথে পরিচালিত করবেন এবং অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনবেন নিজের ইচ্ছেমত। আর তাদের দেখাবেন সরল পথ। (সুরা মায়েদা :১৫-১৬)

যিনি খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন, ভালোভাবে অজু করে ফজরের নামাজ পড়েন, তাকে কখনো কি জিজ্ঞেস করেছেন, সবাই যখন ঘুমে বিভোর থাকে, তখন তিনি কেন এত কষ্ট করে আরামের বিছানা দূরে সরিয়ে অজু করে নামাজ আদায় করেন? এটা কি শুধু তার প্রভুর অলঙ্ঘনীয় নির্দেশের কারণেই? মোটেও না। কারণ, একজন মুসলমান নামাজের মাঝে যে প্রশান্তি ও আত্মতৃপ্তি খুঁজে পায়, তা অন্য কিছুতে পায় না। যে মানুষ পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ে, অন্য মানুষের থেকে তার মাঝে বহুবিধ পার্থক্য দৃশ্যমান। যা কমবেশি সবাই বুঝতেও পারে। কারণ, নামাজি ব্যক্তি নামাজ পড়ে তার প্রভুকে খুশি করার জন্য। অগণিত কল্যাণ ও শান্তি অর্জনের জন্য।

নামাজি ব্যক্তির সারাদিন ভালো কাটে। সময় এবং কাজে বরকত হয়। আয়-রোজগারে প্রবৃদ্ধি ঘটে। সবাই তাকে শ্রদ্ধা করে। সালাম করে। ভূয়সী প্রশংসার পাত্র হয় সে। শুধু নামাজ নয়, ইসলামের প্রতিটি বিধানই এমন। কোনো না কোনো উপকার তাতে অবশ্যই আছে। পাঁচওয়াক্ত নামাজের পূর্বে অজু করা, নিয়মিত গোসল করা, এশার নামাজের পরে তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং প্রত্যুষে জেগে ওঠা, দাড়ি রাখা, মোচ ছোট করে রাখা, প্রত্যেক সপ্তাহে নখ কাটা, হজ করা, জাকাত প্রদান করা, রোজা রাখা, সত্য বলা, ধোঁকা ও প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ না করা; মোটকথা ইসলামের একটি বিধানও এমন পাওয়া যাবে না যা অনর্থক বা মানবকল্যাণ বহির্ভূত।

ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। কেননা, মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন ‘আজ আমি তোমাদের দীন-ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামতকে (কুরআন) পূর্ণতা দান করলাম আর তোমাদের জন্য ধর্ম হিসেবে ইসলামকে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়েদা :৩) অন্যত্র আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সুরা বাকারা :২০৮)

ইসলামে যেমন ব্যক্তি পরিচালনার বিধান আছে, তেমনি আছে রাষ্ট্র পরিচালনার কথাও। কার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে, লেনদেন কীভাবে করতে হবে, কাকে কতটুকু অধিকার দিতে হবে, এ সবকিছুই আছে ইসলামে। মানুষের জীবনে আপদ-বিপদ আসতেই পারে। এর দ্বারা আল্লাহ মূলত বান্দাকে পরীক্ষা করেন। তার ঈমানকে যাচাই করেন। তাকে মহাশান্তির জায়গা জান্নাতের উপযুক্ত বানান।

তাই আসুন, আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের অনুশাসন মেনে চলি। দুনিয়া ও পরকালে প্রভূত কল্যাণ এবং শান্তি অর্জন করি।

ঝালকাঠি আজকাল