নবুয়তের পূর্বেও অনন্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন মুহাম্মদ (সা:)
উম্মুল মুমিনিন আয়িশা (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট সর্বপ্রথম ওহি আসে নিদ্রাবস্থায়, বাস্তব স্বপ্নরূপে। যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা একেবারে প্রভাতের আলোর ন্যায় প্রকাশিত হতো। এরপর তাঁর নিকট নির্জনতা পছন্দনীয় হয়ে দাঁড়ায় এবং তিনি ‘হেরা’ গুহায় নির্জনে অবস্থান নেন। কিছু খাদ্যদ্রব্য সাথে নিয়ে যেতেন। এক নাগাড়ে বেশ কয়েক দিন ইবাদাতে মগ্ন থাকতেন। এরপর ফিরে এসে আবার কিছু খাদ্যদ্রব্য নিয়ে যেতেন। আবার ইবাদতে মগ্ন হয়ে যেতেন। এভাবে হেরা গুহায় অবস্থানকালে তাঁর নিকট ওহি আসলো। জিবরাইল ফেরেশতা এসে বললো, ‘পাঠ করুন’। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি তো পড়তে জানি না।’
জিবরাইল নবীজিকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চাপ দিলো যে, নবীজির খুব কষ্ট হলো। ছেড়ে দিয়ে আবার বলল, ‘পাঠ করুন’। নবীজি বললেন, ‘আমি তো পড়তে জানি না’। ফেরেশতা দ্বিতীয়বার নবীজিকে জড়িয়ে ধরে এমনভাবে চাপ দিলো যে, নবীজির খুব কষ্ট হলো। এরপর ফেরেশতা বলল, ‘পাঠ করুন’। নবীজি একই উত্তর দিলেন, ‘আমি তো পড়তে জানি না’। এভাবে তৃতীয়বার ফেরেশতা নবীজিকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। তারপর ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘পাঠ করুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত পিন্ড থেকে, পাঠ করুন, আপনার রব অতিশয় দয়ালু।’ [সুরা আলাক, ৯৬ : ১-৩]
তো এ আয়াত নিয়ে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যাবর্তন করলেন। তাঁর দেহমন তখনও প্রকম্পিত। তিনি নিজ স্ত্রী খাদিজা বিনতু খুওয়াইলিদের নিকট এসে বললেন, ‘আমাকে চাদর দ্বারা আবৃত কর’, ‘আমাকে চাদর দ্বারা আবৃত করো’। তিনি তাঁকে চাদর দ্বারা আবৃত করলেন।
খাদিজার নিকট ঘটনাবৃত্তান্ত জানিয়ে নবীজি (সা:) তাঁকে বললেন, ‘আমি আমার নিজেকে নিয়ে শংকা বোধ করছি।’ খাদিজা (রা:) বললেন, ‘আল্লাহর কসম, কখনই নয়। আল্লাহ আপনাকে কখনো লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়–স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করেন, অসহায় দুস্থদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, নিঃস্বকে সহযোগিতা করেন, মেহমানের আপ্যায়ন করেন এবং অধিকার বঞ্চিতদের অধিকার ফিরিয়ে দেন।’ [বুখারি, আসসাহিহ, ওহির সূচনা অধ্যায়, হাদিস নং ৩; সংক্ষেপিত]
ফায়দা
খাদিজা (রা.) আনহার কথা থেকে নবিজির ৫টি অনন্য বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে, যা তাঁর মাঝে নবুয়ত লাভের পূর্ব থেকেই ছিল। সেগুলো হলো :
১. আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করা
২. অসহায় দুঃস্থদের দায়িত্ব গ্রহণ করা
৩. নিঃস্ব মানুষদের সহযোগিতা করা
৪. মেহমানদের যথার্থ আপ্যায়ন করা
৫. অধিকার বঞ্চিতদের অধিকার আদায় করা।
নি:সন্দেহে এর প্রত্যেকটিই এমন অনন্য বৈশিষ্ট্য, যা তৎকালীন আরবে কল্পনাও করা যেত না। নবিজির এসমস্ত গুণের কারণেই তিনি মক্কাবাসী প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। প্রথম যখন নবিজি (সা.) প্রকাশ্যে দাওয়াতের আদেশ পেলেন, তিনি সাফা পাহাড়ে ওঠে মক্কার একেক গোত্রের নাম ধরে ধরে ডাক দিলেন। প্রত্যেকেই আসলো। যে আসতে পারলো না, সে নিজের পক্ষ থেকে কাউকে পাঠিয়ে দিলো—যাও, শুনে আসো মুহাম্মাদ কী বলেন। নিশ্চয়ই তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলবেন। কারণ তিনি তো কোনো দিন মিথ্যে-অনর্থক কিছু বলেননি।
সকলেই সম্মিলিত হওয়ার পর নবী (সা:) তাদের সামনে তাওহিদের দাওয়াত পেশ করলেন। কিন্তু তারা গ্রহণ করতে রাজি হলো না। রাজি হোক বা না হোক, কিন্তু তারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতো যে, মুহাম্মাদ (সা:) যা বলছেন, তা হক। তারাও তাঁর চারিত্রিক অনন্যতার সাক্ষ্য দিতো।
তাই একজন দাঈ বা আল্লাহর পথে আহ্বানকারীকে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো অর্জন করতে হবে। আত্মীয়–স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে। অসহায়-দুঃস্থদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে, নিঃস্ব মানুষদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, মেহমানদের যথার্থ আপ্যায়ন করতে হবে, সমাজের অধিকার বঞ্চিত মানুষদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করতে হবে। তাহলেই একজন দাঈর দাওয়াহ সমাজে দ্রুত প্রসার লাভ করবে। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, সমাজকে বয়কট করে, মুসলিমদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, আড়ালে-আবডালে থেকে দাওয়াতের কাজ হয় না। প্রতিটি দাঈকে হতে হবে একজন সমাজকর্মী। সমাজবন্ধু।
ঝালকাঠি আজকাল- গরমে কেন বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি?
- এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে
- ছুটির দুপুরে পাতে রাখুন ‘আনারস মুরগি’
- ৯৫ লাখ টাকায় কষ্টিপাথর কিনে প্রতারিত, ক্ষুব্ধ হয়ে ভায়রাকে অপহরণ
- বিচারকাজ পরিচলনায় আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চ
- পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত
- গাম্বিয়ার কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বিষয়ে আলোচনা
- কোক স্টুডিও বাংলা’র নতুন গান ‘মা লো মা’
- আড়াই মাস পর দেশে এসেছে ৮ বাংলাদেশির লাশ, নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন
- মাদারীপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ গ্রেপ্তার ২
- দাবদাহে উত্তপ্ত হয়ে বিটুমিন গলে যাওয়া সড়কে দুদকের অভিযান
- সদর উপজেলার কেউ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না ইনশাল্লাহ
- মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন
- বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পরে দুধ দিয়ে গোসল, ভিডিও ভাইরাল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সভা
- বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলগত ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি
- ইলিশের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা : ২৩ ঘণ্টাতেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান
- গাজায় ক্ষুধার্ত শিশুদের মাঝে বাংলাদেশিদের খাদ্য বিতরণ
- সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্রের
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- যুবকদের আইসিটিতে দক্ষ করার উদ্যোগ, ফ্রিল্যান্সিংয়ে গুরুত্ব
- কুয়েতে স্মার্ট এনআইডি সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- গরমে গাড়ির টায়ারের জন্য কোন বাতাস উপকারী?
- প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ
- অনলাইনে ছবি শেয়ার করাও বিপজ্জনক হতে পারে
- বে টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু ডিসেম্বরে
- শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগে দেশীয় পণ্য আজ বিদেশে সমাদৃত: আমির হোসেন আমু
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- গরমে বাড়ে যেসব চর্মরোগ
- প্রিজন সেলে হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- ঝালকাঠিতে শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা
- হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না?
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- রাজাপুরে চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ
- পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার, ৬০ শতাংশ হোটেল বুকড
- পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের প্রথম সাক্ষী হলো মেক্সিকো