• মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ১৩ ১৪৩০

  • || ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

বিষখালী নদীর পানিতে কাঠালিয়া উপজেলার অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২০টি গ্রাম প্লাবিত

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২  

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ  বিষখালী ও হলতা নদীর জোয়ের পানি ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২০টি গ্রাম ও শতাধিক আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর প্লাবিত হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে কাঠালিয়া গ্রামের বিষখালী নদীর তীরবর্তী রাস্তা ও চিংড়াখালী খালের বাঁধ। গ্রামীন কাঁচা পাকা ১০টি রাস্তা দেঁভে গর্ত হয়ে সংযোগ বিচিছন্ন রয়েছে এ সকল গ্রামের। ফলে হাজার হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ ও আতংকের মধ্যে দিন কাটছে।

রোববার থেকে মুশল ধরে বৃষ্টি, বৈরী আবহাওয়া, বিষখালী ও হলতা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ২৭টি গ্রাম। জোয়ারের পানিতে উপজেলার আউড়া, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া আশ্রায়ন প্রকল্পের শতাধিক ঘর পানিতে ভাসছে। ২/৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে এ সব ঘর। উপজেলা পরিষদের সবগুলো অফিস ভবন, নির্বাহী অফিসারের বাস ভবন, কাঠালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, কাঠালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণ কেন্দ্র, ছৈলার চর পর্যটন কেন্দ্র, কাঠালিয়া লঞ্চ ঘাট, সিকদার পাড়া, পশ্চিম আউরা জেলে পাড়া, আমুয়া হাসপাতাল ও আমুয়া বন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এদিকে জোয়ারের স্রোতে রাজাপুর উপজেলার বাদুরতলা বাজারের ৬টি দোকান ঘর বিষখালী নদীতে বিলীন হয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগ জানান দুই এক দিনের ভিতর পানি না কমলে রোপা আমন ধান পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 

জেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছেন, উপজেলার অনেক মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। ফলে এ সকল খামারিদে অর্ধকোটি টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, কাঠালিয়া উপজেলাকে সরকারের পক্ষ থেকে কোস্টাল এরিয়া ঘোষনা করা এবং ভেরিবাঁধ নির্মান করা না হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সমাধান সম্ভব নয়।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, বিষখালী ও হলতা নদীর পানি বিপদ সীমার প্রবাহিত হচ্ছে। এ অঞ্চলের সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

ঝালকাঠি আজকাল