• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিষন্ন লাগলে একবাটি দই খান

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২০  

করোনাভাইরাসের আতঙ্ক সর্বত্র, তার উপর বিশ্রি গরম। লকডাউনে থাকতে থাকতে মানসিক স্বাস্থ্যও বিঁগড়ে আছে। যেন অবসাদ গ্রাস করতে চাইছে। জানেন, এই সময়ে দই খেলে মন ভালো হয়।

সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা উঠে এসেছে, মন খারাপের সময় এক বাটি দই খেলেই কেল্লাফতে। মনের মধ্যে থাকা দুঃখের বিষ তো যাবেই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিকের ক্ষরণের ফলে নিমেষে মন ভালো হয়ে যাবে। 

যদি রাতে মন খারাপ হয়, তাহলে রাতের বেলা দই খেলে সেভাবে শরীরে কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু যাদের সহজেই ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার ধাত রয়েছে, তাদের সন্ধ্যার পর দই না খাওয়াই ভালো। কারণ, দই খেলে শরীরে মিউকাস জমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সর্দি-কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তবে অল্প চিনি বা গোলমরিচ মিশিয়ে দইটা খেলে তেমন একটা ক্ষতি নেই।

এবার জানা যাক, মন খারাপের ওষুধ দইয়ের কথা।

গবেষকরা দেখেছেন দইয়ে রয়েছে ল্যাক্টোব্যাসিলাস। এটি একপ্রকার উপকারি ব্যাকটেরিয়া। যা শরীরে থাকা মাইক্রোবায়োমের চরিত্র এমনভাবে বদলে দেয় যে, ডিপ্রেশন বা অবসাদ দূরে পালায়। এখানেই শেষ নয়, ডিপ্রেশন বা মন খারাপ তখনই হয় যখন মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রেও দই বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

মন খারাপ করা হরমোনকে আক্রমণ করতে 'ফিল গুড' হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় দই। ফলে ধীরে ধীরে মন খারাপ কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণাতে দেখা গেছে পাকস্থলিতে উপস্থিত মাইক্রোবায়োম মেন্টাল হেলথের ভালো-মন্দের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে দই। তাই তো দই ও মন-মস্তিষ্কের সম্পর্ককে  কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না।

মন খারাপের সময় শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের পরিমাণ কমে যায়। ফলে কাইনুরেনাইন নামের একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা স্ট্রেস লেভেলকে নিমেষে
বাড়িয়ে দেয়। এই সময় যদি কোনভাবে শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের মাত্রা বাড়ানো যায়, তাহলেই স্ট্রেস তো কমেই, সঙ্গে উৎকণ্ঠাও কমতে শুরু করে। আর এই কাজটি খুব ভালোভাবে করে দই।

ঝালকাঠি আজকাল