• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আজ সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২০  

গীতিকবি, সুরকার, গায়ক সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর রাত ১২টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান। তার সৃষ্ট অজস্র গান এখনও নবীনদের অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।

সঞ্জীবের গাওয়া ‘বায়োস্কোপের নেশায় আমায় ছাড়ে না’, ‘ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’, ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘হৃদয়ের দাবি’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিলো চাঁদ’, ‘রিকশা’ ইত্যাদি সব শিরোনামের গানগুলো আজও নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে। এখনো লোকমুখে ফিরে ফিরে বাজে তার গান। নানা অনুষ্ঠান-কনসার্টে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মুখে শোনা যায় এসব গান।

গানের মানুষ হিসেবেই সমাদৃত হলেও দারুণ মেধাবী সঞ্জীব চৌধুরী পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। তবে তার পৈতৃক নিবাস বিশ্বনাথ উপজেলার দাশঘর গ্রামে। সেখানকার স্থানীয় শরৎ রায় চৌধুরী ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরীর দাদা। তিনি ছিলেন গোপাল চৌধুরী ও প্রবাসিনী চৌধুরী দম্পতির সপ্তম সন্তান।

সঞ্জীব ছিলেন খুব মেধাবী ছাত্র। পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিলেন। স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষালয় শেষে তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৭৮ সালে এসএসসি পাস করে দারুণ রেজাল্ট দিয়ে সবাইকে চমকে দেন। পরে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন ১৯৮০ সালে। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা সঞ্জীব চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে চান্স পান মেধা তালিকায় নাম উঠিয়ে। কিন্তু গণিতের প্রতি তার কোনো ভালো লাগা ছিলো না। তাই বিষয় পরিবর্তন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে আশির দশকে। ছাত্র থাকাকালীন বাম ঘরানার ছাত্র রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৭৯-৮০ সালে তিনি ঢাকা কলেজের বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সংস্কৃতি সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন সঞ্জীব চৌধুরী।

শিক্ষার পর্ব শেষ করেই দৈনিক উত্তরণ পত্রিকায় যোগ দিয়ে সাংবাদিক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন।

‘শঙ্খচিল’ নামের দলে সংগীতচর্চা শুরু হয় তার। তিনি পিংক লয়েড, বব ডিলানের গানে প্রভাবিত। তার গানেও এদের ছায়া পড়েছে। বিশেষ করে ফোক গানের প্রতি ছিলো তার ব্যাপক ভালো লাগা।

১৯৯৬ সালে সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দলছুট’ গঠন করেন। পরবর্তীতে সঞ্জীব চৌধুরীর কথা ও বাপ্পার সংগীতায়োজন দলটিকে ভিন্ন মাত্রা দেয়। তিনি গিটারসহ আরো নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্রে পারদর্শি ছিলেন।

ঝালকাঠি আজকাল