• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি, প্রতিবাদে গণইফতার

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৪  

দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইফতার পার্টি’ বন্ধের প্রতিবাদে সারা দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে ‘গণইফতার’ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম রোজায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজসহ আরও বেশ কয়েকটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের গণইফতার

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকারের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এবারের রোজায় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগের দিন রবিবার (১০ মার্চ) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণইফতার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণইফতার এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশব্যাপী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।  গণইফতার কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বাঙালি মুসলমানের ঐতিহ্য ইফতার মাহফিল। দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে দেশ থেকে ইসলামি সংস্কৃতি বাদ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। আমরা তার প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই গণইফতার কর্মসূচি পালন করেছি। ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আহ্বান জানাই— তারা যেন তাদের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। আশা করি, আর কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নেয়।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণইফতার

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি নিষেধ করার প্রতিবাদে আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা মিলে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ইফতার করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নিষেধাজ্ঞার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে আমাদের গণইফতার কর্মসূচি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সম্প্রীতির জায়গা। এখানে নির্বিঘ্নে সব ধর্মবর্ণের মানুষ তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের অধিকার রাখে। তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণইফতার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হৃদয় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অহেতুক এক বিজ্ঞপ্তির কারণে আজ দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ভাবতেই অবাক লাগে— ৯০ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশে এক দল ইফতার-মাহফিল নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করছে। আমি মনে করি, শুধু মুসলিম না ক্যাম্পাসগুলোতে সব ধর্মবর্ণের মানুষের স্বাধীনতা আছে। এমন নিন্দনীয় বিজ্ঞপ্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ে গণইফতার

শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি প্রশাসনের ইফতার পার্টি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তির পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরবর্তী সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ উদ্যোগে ইফতার-মাহফিল করতে পারবেন। তবে প্রশাসন এতে কোনও ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে না। ইফতার পার্টির নামে বিশৃঙ্খলা বা অরাজগতা সৃষ্টি করা যাবে না।’

 নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণইফতার

নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশনা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার উল আলম বলেন, ‘ইফতার পার্টির নামে কেউ যেন অরাজকতা করতে না পারে, এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে অনেকের অনেকরকম উদ্দেশ্য থাকে। তারা এসব অনুষ্ঠানের সুযোগ নিতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে নজরদারি রয়েছে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। সুষ্ঠু সুন্দর স্বাভাবিক পরিবেশে ক্যাম্পাসে ইফতার করতে কোনও বাধা নেই। তবে বড় পরিসরে ইফতারের আয়োজন করলে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।’

 

ঝালকাঠি আজকাল