• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

পণ্য রফতানি বন্ধের প্রবণতা ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থার দাবি বাংলাদেশ

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২  

ইচ্ছা হলেই বড় দেশগুলো হঠাৎ খাদ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে ছোট ছোট দেশে ব্যাহত হয় খাদ্য চাহিদা। বাজার ব্যবস্থায় তৈরি হয় সংকট। এমন অভিযোগ করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে বাংলাদেশের দাবি, হঠাৎ করে পণ্য রফতানি বন্ধ করার প্রবণতা ঠেকাতে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি যুদ্ধের কারণে বেড়ে যাওয়া নিত্যপণ্য আর জ্বালানি তেলের দাম নিয়েও উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ।

করোনায় টালমাটাল বিশ্বে বড় অর্থনীতির দেশগুলো ক্ষতি কাটিয়ে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে উঠতে রয়েছে। বিপরীতে এখনো খাবি খাচ্ছে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত বহু দেশ।

কাজাখস্তান থেকে সরিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১২তম মন্ত্রীপর্যায়ের সভা আনা হয়েছে জেনেভায়। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির আকাশ থেকে সরানো যায়নি চলমান সংকটের মেঘ। এই সম্মেলনে বেশ জোরালোভাবেই নিজেদের দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।

সভাশেষে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, হুটহাট করে খাদ্যপণ্য রফতানি বন্ধ করে দিচ্ছে কিছু দেশ। এতে সংকটময় সময়ে চরম হুমকিতে পড়ছে খাদ্য নিরাপত্তা। এই প্রবণতা বন্ধে ডব্লিউটিওর কাছে সুস্পষ্ট ঘোষণা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে যে হুট করে বিভিন্ন পণ্য রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, সেটি যাতে না করা হয়, সে জন্য আমরা দাবি তুলেছি। এ ছাড়া অন্যান্য মন্ত্রীরা যারা বক্তব্য দিয়েছেন, তারাও একই সুরে কথা বলেছেন। তা ছাড়া ডব্লিউটিও রিফর্মের যে কথা বলা হচ্ছে, সেখানে যাতে মন্ত্রীদের কথা প্রতিফলিত হয় এবং সেটি স্বচ্ছ, সে জন্যই আমরা দাবি তুলেছি।

এদিকে সম্মেলনে আলোচনার কেন্দ্রে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। বাংলাদেশ মনে করে, এই অস্থিরতার কারণেই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে নিত্যপণ্য আর জালানি তেলের দাম।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজ উদ্দিন বলেন, চলমান যে সংকট রয়েছে তার মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা এবং জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী দামের বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি। আমরা নির্দিষ্টভাবে এ দুই বিষয় নিয়েই সামনে এগিয়ে যাব। আমরা নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম বলছি না।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা মনে করছে এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক মন্দার বড়সড় ঝুঁকিতে রয়েছে অনেক দেশ। তাই সম্মেলনে বারবার অর্থ খরচে সতর্ক করা হচ্ছে।

করোনার পর সারা পৃথিবীতে খাদ্য সরবরাহে সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হয়েছে। যেখানে বড় দেশগুলো হঠাৎ রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফলে ভোগান্তিতে পরে ছোট ছোট দেশগুলো। বারবার খাদ্যে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো অন্য সব দেশের চাওয়া, এসব স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করা এবং সঠিক নীতি পরিবর্তন করে বিশ্বকে ও মানবতাকে বাড়াবে ডব্লিউটিও। 

ঝালকাঠি আজকাল