• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

‘সাহেদের ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা প্রয়োজন ছিল’

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০  

রিজেন্টে হাসপাতালের সাহেদ বা জেকেজিকে করোনা ইস্যুতে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবশ্যই আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে অভিমত জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিমত দেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের দুষ্টু চক্রের ফলে মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব পড়ে ও আস্থার অভাব তৈরি হয়।। অনেক মানুষ এ চক্রের ফলে ভুক্তভোগী হয়েছেন। তবে এ বিষয়গুলো কিন্তু অন্য কেউ উৎঘাটন করেনি। সরকার নিজে থেকেই করেছে এবং অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে।

‘সাহেদের বিষয় বা জেকেজির বিষয়ে কোনা পত্রিকায় রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কিন্তু নয়। সরকার নিজেই এখানে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলো উঠে এসেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেকেজির প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যান দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সাহেদের দুইটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এসব ব্যাপারে মামলা হয়েছে। সাহেদকেও গ্রেফতার করার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দৃঢ়ভাবে বলা হয়েছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এদেরকে এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও সতর্ক হওয়ার অবশ্যই প্রয়োজন ছিল।’

করোনা প্রতিরোধে সরকারের নিষ্ঠা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশে যখন প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় তখন মুজিববর্ষের সব অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে। একই সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে সরকার শুরু থেকে যা যা করার দরকার সব করে এসেছে। আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য।

‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম। এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে। সরকার এ কাজটি আরো সুচারুভাবে করতে চায় বিধায় এ খাতের অনিয়ম দুর্নীতিগুলো উৎঘাটন করে সে সবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

সরকারের উদাসীনতায় চলমান বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে, সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের উদাসীনতার কারণে বানের পানি এসেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখন যে সেটা বলে বসেন আমি সেই শংকার মধ্যে আছি। কিছুদিন আগে ঘুর্ণিঝড় হয়েছিল, করোনার মধ্যেও সেটি মোকাবিলা করে মানুষের জান-মাল রক্ষা করা হয়েছে। তাদের পুনর্বাসন হয়েছে। এখনও কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বন্যার ক্ষেত্রও সরকার ইতোমধ্যে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে। বিএনপি শুধু ঘরের মধ্যে বসে বসে এই মায়া কান্না দেখায়, কিন্তু জনগণের সাহায্যের জন্য কখনও তারা নিজেদের হাত প্রসারিত করেনি। তাদের রাজনীতি হচ্ছে টেলিভিশন আর সংবাদ সম্মেলনকেন্দ্রিক।

ঝালকাঠি আজকাল