ছয় মাসে চা উৎপাদন বেড়েছে ৪৪ শতাংশ
চলতি বছর দেশের আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চা বাগানগুলোয় চা উৎপাদন বেড়েছে। আর এই উৎপাদনের ধারা অব্যাহত থাকলে নয় কোটি কেজির বেশি চা উৎপাদন হবে বলে চা বোর্ড আশা করছে ।
চা বোর্ডের সর্বশেষ মাসিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এই বছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ জুন পর্যন্ত দেশের ১৬৬টি বাগানে মোট ২ কোটি ৭৯ লাখ ৪৮ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে এই চা উৎপাদনের পরিমাণ ছিল মাত্র ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯৮ হাজার কেজি চা। সে হিসাবে বছরের প্রথমার্ধে চা উৎপাদন বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া চা উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে অনুকূল। অর্থাৎ রাতের বেলা বৃষ্টির পাশাপাশি দিনে খরতাপ থাকলে ভালো মানের কুঁড়ি উৎপাদন হয়। এ বছর বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলেও নিয়মিত বৃষ্টিপাত ও দিনের বেলা রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার কারণে দেশের বাগানগুলোয় ভালো মানের চা উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি চায়ের পরিমাণও বেড়ে গেছে।
হবিগঞ্জের দারাগাঁও চা বাগানের ম্যানেজার ফরিদ আহমদ শাহিন বলেন, অনুকূল পরিবেশ থাকায় চা উৎপাদন বেড়েছে। বছরের প্রথম দিকে চা উৎপাদন কম হলেও এখন তা প্রায় দ্বিগুণ। আর বর্ষা মৌসুমেও ভালো বৃষ্টি হচ্ছে।
দেশের চা বাগানগুলোয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪ লাখ ৯৫ হাজার কেজি, ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ১৪ হাজার, মার্চে ১৯ লাখ ১৭ হাজার, এপ্রিলে ৬১ লাখ ১০ হাজার, মে মাসে ৭৬ লাখ ৪৫ হাজার এবং সর্বশেষ জুনে ১ কোটি ১৬ লাখ ৬৭ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।
গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ৩ লাখ ৩১ হাজার কেজি, ফেব্রুয়ারিতে ৩৮ হাজার, মার্চে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার, মে মাসে ৬৩ লাখ ৩৪ হাজার ও জুনে ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল।
চা বোর্ডের উৎপাদনসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের শেষের ছয় মাসে মোট সাড়ে ছয় কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। ফলে প্রথম ছয় মাসের উৎপাদন মিলিয়ে নয় কোটি কেজি চা উৎপাদন সম্ভব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ শত মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের দেশে পরিণত হবে। তখন চা আমদানির পরিবর্তে বাংলাদেশ আবারও রপ্তানিমুখী চায়ের দেশ হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে চা উৎপাদনের ইতিহাসে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়। কিন্তু পরের বছরেই এর উৎপাদন কমে ৭ কোটি ৮০ লাখ কেজিতে দাঁড়ায়। তবে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ কোটি ২০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।
সঠিক সময়ে কীটনাশক ব্যবহার এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চা উৎপাদনে এই সফলতা এসেছে বলে চা-বাগান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল চা কমিটির তথ্য মতে, চীন এখন চা উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে। আর ভারত আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। বিশ্বে চা উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন নবম স্থানে। কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ একটানা দশম অবস্থানে ছিল। ইন্টারন্যাশনাল চা কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের সামনে চায়ের উৎপাদন দ্বিগুণ করার সুযোগ রয়েছে।
এ দিকে চা গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চা বাগানের জমি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। মাত্র ৫২ ভাগ জমি চা চাষের যোগ্য। বাকি ৪৮ ভাগ জমি পতিত ও চা চাষের জন্য লিজ নিয়ে ভিন্ন খাতে ব্যবহার হচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, লিজ নেয়া জমির সঠিক ব্যবহার, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা, সঠিক মনিটরিং, কম মূল্যে সার-কীটনাশক সরবরাহ ও ক্লোনিং চা গাছ রোপন করলে উৎপাদন দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে।
পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ মৌসুমে সাড়ে ৬ লাখ কেজি চা রপ্তানি হয়েছে। এ মৌসুমের উৎপাদনে ২০১০ সাল থেকে চা শিল্প নিয়ে যে শঙ্কার তৈরি হয় তা কেটে গেছে।
চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালিনীছড়া চা-বাগানে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চা চাষ শুরু হয়। দেশ স্বাধীনের সময় দেশে ১৫০টি চা-বাগান ছিল। তখন দেশে ৩ কোটি কেজির মতো উৎপাদন হতো।
বর্তমানে দেশে ১৬৬ টি চা বাগান রয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারেই ৯২টি চা বাগান রয়েছে। অন্যান্য চা বাগানগুলোর মধ্যে হবিগঞ্জে ২৪টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, পঞ্চগড়ে ৭টি, রাঙামাটিতে ২টি ও ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা বাগান রয়েছে। দেশে এখন মোট চা চাষের জমির পরিমাণ ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩৯ একর।
ঝালকাঠি আজকাল- ঝালকাঠি সদর ও নলছিটিতে শেষ দিনের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
- উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে উপকূল জুড়ে কোস্টগার্ড মোতায়েন
- নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?
- দুধের সঙ্গে যা খাবেন না
- গরমকে বশে রাখে মিশরীয় শরবত!
- বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক!
- মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে ৫ স্টেশন
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজ উৎপাদন বাড়াতে হবে
- চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান
- ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’
- এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের সময় শেষ আজ
- সবার মুখে খাবার তুলে দিতেই কাজ করছেন শেখ হাসিনা
- নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে ৬১৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- নতুন ধরনের প্রতারণার কথা জানাল পুলিশ
- আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল এক্স ডটকম
- নীতিমালা হচ্ছে হিমায়িত মাংস আমদানিতে
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চিঠি
- আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ
- ফিটনেসবিহীন মোটরযান চললেই ব্যবস্থা: বিআরটিএ
- একটি জাল ভোট পড়লেও কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে- ইসি আহসান হাবিব
- শিবচর ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- ট্রমাসেন্টারে একমাসের মধ্যে জনবল নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালু হবে
- অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে
- বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশ
- শেবাচিমের সংকট কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করেছে: সচিব
- আগামী প্রজন্মের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে
- বরিশালে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে
- মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল
- ক্ষমতার লোভে অপপ্রচারের রাজনীতি বন্ধ করুন
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- বে টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু ডিসেম্বরে
- ঝালকাঠিতে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা
- শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগে দেশীয় পণ্য আজ বিদেশে সমাদৃত: আমির হোসেন আমু
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- ঝালকাঠিতে শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা
- কনস্টেবল পরিচয়ে থানায় তদবির করতে গিয়ে ধরা
- গ্রাম আদালতের জরিমানার ক্ষমতা বাড়ল
- ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
- হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না?
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ চলছে
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- দশ দিনে এলো প্রায় ১ হাজার কোটির রেমিট্যান্স
- রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি যারা
- ঝালকাঠিতে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের সাথে প্রার্থীদের মতবিনিময়
- ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
- গরমে সতেজ থাকার কৌশল
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে