• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

ঝালকাঠিতে ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে আশ্রয় কেন্দ্রে

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩  

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় প্রাথমিকভাবে ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ বাহিনী ও চিকিৎসা সেবায় ৩৮টি মেডিকেল টিম। আশ্যয়কেন্দ্রে জন্য পাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ৬ শত প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এত জেলার চার উপজেলার ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে আশ্রয় কেন্দ্রে।

এছাড়া স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টের সমন্বয়ে ১৬০ জন তরুণ-তরুণীর স্বেচ্ছাসেবকের টিম তৈরি করা হয়েছে। জেলার সব উপজেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এসব তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝালকাঠি সদরসহ তিনটি উপজেলার যে কোনো প্রান্তে চিকিৎসা সহায়তা দেবে। আশ্যয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের জন্য শুকনা খাবারসহ ২লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৫শ পিস স্যানিটারি ন্যাপকিন, ৩শ পিস প্লাস্টিকের বালতি, ৩০ পিস অস্থায়ী ল্যাট্রিন, ২৫ পিস ছোট বড় পানির ট্যাংক সরবরাহ করা হবে।

এদিকে জেলার বিষখালি নদীর তীরে অবস্থিত রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়ি, আমুয়া, শৈলোঝালিয়া ইউনিয়নে স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অতিরিক্ত পানিতে প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ফোরকান সিকদার জানান, আমাদের এখানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় অনেক সময় অতি জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এখন আসন্ন ঝড়ে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব ধরণের ব্যাবস্থা নেয় হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, সরকারি দপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য কাজ করবেন,যাতে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।

 

ঝালকাঠি আজকাল