• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন জিয়া: আমু

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২০  

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন দাবি করে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র, সাবেকল মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে খুনিরা বীরদর্পে সে কথা প্রচার করেছে। খুনিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সবসময় যোগাযোগ ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তাঁর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেছিল জিয়া। মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমু আরো বলেন, জিয়াউর রহমান মৌলবাদের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। গণতন্ত্রকে হত্যা করে তিনি রাজনীতিকে কলুষিত করেছিলেন। তিনিই প্রথম সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। ভোট কারচুপির রাজনীতিও তিনি শুরু করেছিলেন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এমন কোন কাজ নেই যা, জিয়াউর রহমান করেনি।
 
সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ভাগ্যক্রমে দেশে না থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রাণে বেঁচে আছেন। শেখ হাসিনা আছেন বলেই আজ বাঙালি জাতি বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, অন্যরা দেশ লুটপাট করে ধংসের দিকে নিয়ে যায়। অস্থিতিশীল রাজনীতি এখন আর নেই, শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তাকেই ক্ষমতায় থাকতে হবে।

ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবরে সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্তের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদার, জেলা আওয়মী লীগের সহসভাপতি ও চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহম্মেদ সালেক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অসীম কুমার সাহা, যুগ্মসম্পাদক তরুন কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদার, সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা, সহসাধারণ সম্পাদক কে এম সবুজ ও ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অলোক সাহা। পরে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছাসহ শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজার করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।

 

ঝালকাঠি আজকাল