নবিজিকে ভালোবাসতে হলে তাঁর জীবনী অধ্যয়ন করতে হবে
কারও সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে তাকে মনের গভীর থেকে, আন্তরিকভাবে ভালোবাসা যায় না। কাউকে ভালোবাসতে হলে তার সম্পর্কে জানা চাই। আর নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে সত্য, কেননা তিনি এমন একজন মানুষ যার সম্পর্কে যত জানা হয়, ততই তাঁর ব্যক্তিত্ব পাঠককে মুগ্ধ করে এবং তাঁর প্রতি ভালোবাসাও তৈরি হয়। যদিও বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিমরা তাঁর সম্বন্ধে অল্পবিস্তর জেনেই তাঁকে ভালোবাসে, তারপরও তাঁর সম্পর্কে ভালোভাবে না জানা পর্যন্ত তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্ম নেবে না। তাই দেখা যায় যে, সাহাবারা রাসুলকে যত বেশি জানতেন, তাঁরা তত বেশি তাঁর সান্নিধ্য পেতে চাইতেন এবং তাঁকে তত বেশি ভালোবাসতেন।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমর ইবনুল আল আস রাদিয়াল্লাহু আনহুর কথা। তিনি ছিলেন এক সময় রাসুলুল্লাহর ঘোরতর শত্রু। ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ও দুশমনদের মধ্যে অন্যতম। পরবর্তীতে একসময় তিনি মুসলিম হন। মৃত্যুশয্যায় তিনি হঠাৎ কাঁদতে শুরু করেন। পিতাকে মৃত্যুশয্যায় কাঁদতে দেখে ছেলে আবদুল্লাহ বিন আমর বললেন, ‘বাবা, নবিজি কি আপনাকে (ঈমানের) সুসংবাদ দেননি?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) আমর ইবনুল আস (রা.) সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমানা আমর’, অর্থাৎ আমর ঈমান অর্জন করেছে। খোদ রাসুলুল্লাহ (সা.) আমর ইবনুল আসের মুমিন হওয়ার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি শুধুমাত্র একজন মুসলিমই ছিলেন না, বরং উঁচু স্তরের একজন মুমিনও ছিলেন। তাই তাঁর পুত্র তাঁকে এই বলে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিল যে, ‘আপনি একজন মুমিন। যেখানে রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনাকে এই সুসংবাদ দিয়েছেন সেখানে আপনি মৃত্যুর পূর্বে এভাবে কান্নাকাটি করছেন কেন?’
আমর ইবনুল আস (রা.) তাঁর ছেলের দিকে ফিরে কথা বলতে শুরু করলেন। তাঁর ভাষায়–আমি আমার জীবনে তিনটি পর্যায় অতিক্রম করে এসেছি। জীবনের প্রথম ভাগে আমার কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি ছিলেন মুহাম্মাদ (সা.)। তাঁর প্রতি আমার বিদ্বেষ এতটাই তীব্র ছিল যে, তাঁকে যেকোনোভাবে পাকড়াও করে হত্যা করার ব্যাপারে আমি ছিলাম বদ্ধপরিকর। এটাই ছিল আমার অন্তরের আকাঙ্খা, তীব্র বাসনা। যদি সে সময় আমি মারা যেতাম তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমার স্থান হতো জাহান্নাম। কিন্তু এরপর আল্লাহ তাআলা আমার অন্তরে ইসলামের প্রতি ভালোবাসা ঢেলে দেন। আমি নবিজির কাছে গিয়ে বললাম, ‘হে মুহাম্মাদ, আমি মুসলিম হতে চাই! আপনার হাত বাড়িয়ে দিন, আমি আপনার কাছে বাইয়াত দিব।’
কিন্তু মুহাম্মাদ (সা.) যখন হাত সামনের দিকে বাড়ালেন তখন আমি আমার হাত গুটিয়ে নিলাম। নবিজি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছে?’
-আমার একটি শর্ত আছে।
-কী শর্ত?
-আমাকে ক্ষমা করে দেওয়া হোক, এটাই আমার শর্ত।
আমর ইবনুল আস (রা.) জানতেন যে, তিনি অতীতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যা যা করেছিলেন তা তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই তিনি নিশ্চিত হতে চাইছিলেন যেন নবিজি (সা.) তাঁকে তাঁর অতীতের কার্যকলাপের জন্য পাকড়াও না করেন। তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘ও আমর, তুমি কি জানো না যে, ইসলাম তার আগের সমস্ত গুনাহ মুছে দেয়, হিজরত তার আগের সমস্ত গুনাহ মুছে দেয় এবং হজ তার আগের সমস্ত গুনাহ মুছে দেয়?’
আমর ইবনুল আস (রা.) বলতে থাকেন, ‘তারপর আমি মুসলিম হয়ে গেলাম। তখন থেকে মুহাম্মাদের চেয়ে অন্য কোনো ব্যক্তি আমার কাছে অধিক প্রিয় ছিল না। অথচ তিনিই কিনা একসময় আমার ঘোরতর শত্রু ছিলেন। তাঁর প্রতি আমার ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাবোধ এতটাই তীব্র ছিল যে, আমি কখনো তাঁর দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারিনি। কেউ যদি আমাকে তাঁর দৈহিক সৌষ্ঠব বর্ণনা করার জন্য অনুরোধ করত তাহলে আমার পক্ষে তাও সম্ভব হতো না। আমি যদি সে সময় মারা যেতাম তাহলে জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আশা করতে পারতাম...।’
এই হাদিসটি এখানেই শেষ নয়, এরপরে আরও কিছু অংশ রয়েছে। কিন্তু এই হাদিস থেকে প্রাসঙ্গিক বিষয় হলো, যে নজিজিকে আমর বিন আস একসময় চরম শত্রু বলে গণ্য করতেন, সেই নবিজিকে তিনি যখন কাছ থেকে দেখলেন, তাঁকে জানতে শুরু করলেন, তখন থেকে তিনিই হয়ে গেলেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ।
ঝালকাঠি আজকাল- গরমে মাথা ঘোরা ও অজ্ঞান হওয়ার কারণ কী হতে পারে?
- এই গরমে চুল পড়া বন্ধ করতে
- আম মুরগির ঝোল
- কমলো পেঁয়াজের দাম
- জ্বালানি তেল খালাসে আসছে যুগান্তকারি পরিবর্তন
- মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবিতে
- ঝালকাঠিতে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত : কাদের
- রেকর্ড সংখ্যক হাজির সমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি
- তীব্র গরমে মরে যাচ্ছে মুরগি, কমেছে ডিম ও মাংসের উৎপাদন
- এবার স্মার্টওয়াচেই পাবেন এআই ফিচার
- ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্রামে শাহরুখ, ফিরবেন কবে?
- যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস
- উজিরপুরে সরকারী তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- নগরীর শেরে বাংলা সড়কের পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- প্রবাসে এনআইডি করতে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে রঙিন ছবি
- লবণ-চিনি মিশিয়ে নকল ওরস্যালাইন বানাচ্ছিলেন তারা
- ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেন তারা
- অশোক রায় নন্দীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাজি মিশর
- শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
- পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে
- অর্থমন্ত্রী আইডিবির সভায় অংশগ্রহণ ও সৌদি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের শঙ্কা, নদীবন্দরে হুঁশিয়ারি
- কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে জঙ্গি হামলা, নিহত ১
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- গরমে গাড়ির টায়ারের জন্য কোন বাতাস উপকারী?
- প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ
- অনলাইনে ছবি শেয়ার করাও বিপজ্জনক হতে পারে
- বে টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু ডিসেম্বরে
- শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগে দেশীয় পণ্য আজ বিদেশে সমাদৃত: আমির হোসেন আমু
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- গরমে বাড়ে যেসব চর্মরোগ
- প্রিজন সেলে হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
- ঝালকাঠিতে শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা
- হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না?
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের প্রথম সাক্ষী হলো মেক্সিকো
- গরমে সতেজ থাকার কৌশল
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে
- ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার