• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:

প্যান্ডোরা পেপারসে আবারও বিএনপি নেতার নাম!

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২২  

পালের গোদাই যেখানে ‘দুর্নীতির বরপুত্র’ নামে খ্যাত, সেখানে তার অনুসারীরাও যে দুর্নীতিগ্রস্থ হবেন- এটাই তো স্বাভাবিক। প্যান্ডোরা পেপারসের নতুন তালিকায় বাংলাদেশি ৩ জনের নাম প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে দু’জনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

এর আগে বিদেশে অর্থ পাচারে গভীর সংশ্লিষ্টতা থাকা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো প্যান্ডোরা পেপারস।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) এ তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেশন জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)।

নতুন তালিকায় আসা তিন বাংলাদেশি হলেন, ঢাকার বারিধারার ডিওএইচএস -এর এস হেদায়েত উল্লাহ এবং এস রুমি সফিউল্লাহ এবং সিলেটের শাহজালাল উপশহরের স্প্রিং গার্ডেনের বাসিন্দা শাহিদা বেগম শান্তি। হেদায়েত ও সফিউল্লাহ একই পরিবারের সদস্য।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহিদা বেগম শান্তি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং লন্ডনে পলাতক দলটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তারেক রহমানের একজন অন্যতম ডোনার। জাস লিমিটেড নামে একটি অফশোর কোম্পানিতে তার বিনিয়োগ রয়েছে।

দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্য মতে, দুর্নীতি বিএনপির রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এ কারণে তারা যখনই ক্ষমতায় আসে, লুটেপুটে খাওয়ার মহোৎসবে মাতে। এমনকি বাদ যায়নি এতিমদের অর্থও। যার প্রেক্ষিতে দলটির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাজাভোগ করছেন। তবে সরকারের মহানুভবতায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

একইভাবে মানি লন্ডারিংসহ একাধিক অভিযোগে দেশ ছেড়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর তাদের দেখানো পথেই হাঁটেন দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল, সকল স্তরের নেতাকর্মীরা। সেজন্যই প্যান্ডোরা পেপারসের নতুন প্রকাশিত রিপোর্টেও রয়েছে বিএনপির লোক। এর আগের রিপোর্টে ছিল দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্য।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, পাপ কখনো বাপকে ছাড়ে না। যা ইতোমধ্যে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মাধ্যমে সবাই জেনেছেন। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরাও। প্যান্ডোরা পেপারসের মাধ্যমে জানা গেলো, খালেদা-তারেকের আর্শীবাদ পুষ্ট হয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন দলটির অনেক নেতা। প্রকাশিত নতুন রিপোর্ট থেকেই প্রমাণিত হয়, তাদের কেউই দুর্নীতির ঊর্ধ্বে নয়।

ঝালকাঠি আজকাল