ভাস্কর্য ইস্যুতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টায় তারেক রহমান

মূর্তি বা ভাস্কর্য এক বিষয় নয় বা এটা শিরকের উপকরণও নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষদের ভাস্কর্য নির্মাণ করে তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করা হয়। দেশের জন্য তাদের আত্মত্যাগের প্রতিদানস্বরূপ এই সম্মান প্রদর্শন করা হয়। পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশেও ভাস্কর্য রয়েছে। অথচ দেশে জাতির পিতার ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়াশীল মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে যারা হইচই করছে তাদের গোপনে ইন্ধন দিচ্ছেন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভাস্কর্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছেন প্রতিক্রিয়াশীলরা। তাদের অর্থায়ন ও নানাবিধ সহায়তা করছেন তারেক রহমান।

একাধিক গোপন সূত্র বলছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে ধর্মের দোহাই দিয়ে নানা গুজব ও মিথ্যাচার করছে কিছু প্রতিক্রিয়াশীল মহল। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতপন্থী নেতারা ভাস্কর্য নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়ে নানা মনগড়া তথ্য প্রচার করছেন। 

জানা গেছে, ধর্মের দোহাই দিয়ে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারবিরোধী মনোভাব গড়ে তুলতে ‘কৌশলী উস্কানি’ দিচ্ছেন তারা। ন্যূনতম সাংস্কৃতিক শিক্ষা না থাকা এসব প্রতিক্রিয়াশীল চক্র ভাস্কর্যকে মূর্তি বলে মিথ্যাচার করছে। 

আর প্রতিক্রিয়াশীল এই অংশকে অর্থ, বুদ্ধি দিয়ে সহযোগিতা করছেন স্বয়ং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

ধর্মীয় নেতাদের সরাসরি ফোন করে ভাস্কর্য নিয়ে গোলমাল সৃষ্টি করতে অনুরোধ করেছেন তারেক রহমান। এমনকি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারলে আগামীতে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করারও ঘোষণা দিয়েছেন তারেক। 

তবে তারেক রহমানের এই চতুরতা জনগণ বুঝতে পারবে এবং প্রতিক্রিয়াশীল চক্রকে বর্জন করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, এক সময় জিয়া-মোশতাক ষড়যন্ত্র করেছিল। সেই ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। বর্তমানে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান কিছু যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারের ছেলে এবং নামধারী মোল্লাদের মাঠে নামিয়েছে। তারা মনগড়া ফতোয়া দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সৌদি আরব, পাকিস্তানসহ সব মুসলিম দেশেই ভাস্কর্য আছে। অথচ সেই ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে বিশেষ উদ্দেশ্যে মাঠ গরম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলার মানুষ এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না। তারা অতীতের মতোই সব রুখে দেবে।