• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

শেখ হাসিনা সরণি: আধুনিক ঢাকার গেটওয়ে

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩  

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা সরণি, যা পূর্বাচল-৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে নামে সর্বমহলে সুপরিচিত।
দেশের সবচেয়ে প্রশস্ত এই ১২ লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে ঢাকার পূর্বাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে। এই সড়কটিকে বলা হচ্ছে আধুনিক ঢাকার নতুন গেটওয়ে।

রাজধানীর সঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সংযোগ করতে পূর্বাচলে নির্মাণ করা হয়েছে সাড়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে। রাজধানীর প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে পূর্বের ইস্টার্ন বাইপাসকেও সংযুক্ত করেছে এ সড়ক। এর পাশাপাশি ‘কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঐ এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন ও সংস্কার করা হয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ শেখ হাসিনা সরণির মধ্যে রাজধানীর কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক ১৪ লেন বিশিষ্ট। এর মধ্যে ৮ লেন এক্সপ্রেসওয়ে, বাকি ৬ লেন স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য সার্ভিস রোড। এছাড়া বালু নদী থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক ১২ লেনের। এর মধ্যে ৬ লেন এক্সপ্রেসওয়ে, বাকি ৬ লেন সার্ভিস রোড।

আরো জানা গেছে, ২০১৫ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০২৩ সালে। পূর্বাচল-৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ ফুট খাল খনন, ১৩টি আর্চ ব্রিজ, ৫টি এ্যাটগ্রেড ইন্টার সেকশন, বিদ্যমান ৬টি ব্রিজ প্রশস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এডি-৮ খাল, বোয়ালিয়া খাল ও ডুমনি খালের সংস্কার করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাউন্ডারি ওয়াল, ইউ ড্রেন নির্মাণ, জিআরপি পাইপলাইন স্থাপন ও নিকুঞ্জ লেক উন্নয়নের কাজও শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ১০ হাজার ৩২৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে পূর্বাচল ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সংলগ্ন কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ে বাড়িতে এখন সময় লাগে মাত্র ৮-১০ মিনিট। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা সরণি এখন ঢাকার নিকটতম সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পটে রূপ নিয়েছে।

পূর্বাচলের বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, ঢাকার খুব কাছে হওয়ায় আগে থেকেই অনেক মানুষ ৩০০ ফিট এলাকায় ঘুরতে আসে। এখন এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ায় এই এলাকার আকর্ষণ বেড়েছে। এ কারণে মানুষের ভিড়ও বেড়েছে।

রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, শেখ হাসিনা সরণি নির্মাণের ফলে রাজধানীর সঙ্গে পূর্বাচলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো আধুনিক হয়েছে। ঢাকার পূর্বাঞ্চলের লোকজনের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। এছাড়া দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় এই এক্সপ্রেসওয়ে রূপ নিয়েছে জনপ্রিয় পর্যটন স্পটে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা সরণি সম্পূর্ণ রূপে খুলে দেওয়া হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের পাশাপাশি স্থানীয়দের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে রাজউক ও পুলিশ। এরই মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে প্রশস্ত এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নান্দনিক এই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়ন খাতে বর্তমান সরকারের সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হয় নতুন পালক। এটি সরকারের ২০২৩ সালের অসংখ্য সাফল্যের মধ্যে অন্যতম।

ঝালকাঠি আজকাল