• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গলগ্রহে প্রথম অক্সিজেন তৈরি করলো নাসার রোভার

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২১  

নাসা মঙ্গলগ্রহে পারসিভেয়ারেন্স রোভার বলে যে মহাকাশযান পাঠিয়েছে, সেটির একটি ছোট্ট যন্ত্র মঙ্গলের কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে তা থেকে অক্সিজেন তৈরি করেছে। নাসার এই মঙ্গল অভিযানে এটি এ ধরণের দ্বিতীয় প্রযুক্তিগত সাফল্য। এর আগে পারসিভেয়ারেন্স থেকে একটি মিনি হেলিকপ্টার উড়েছিল মঙ্গল গ্রহের ওপর।

যে যন্ত্রটি দিয়ে মঙ্গলগ্রহে অক্সিজেন তৈরি করা হয়েছে, সেটি আকারে একটা পাউরুটি সেঁকার টোস্টারের সমান। এটির নাম 'মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপেরিমেন্ট' বা সংক্ষেপে মোক্সি।

এই যন্ত্রটি পাঁচ গ্রাম গ্যাস তৈরি করেছে- যা দিয়ে মঙ্গলগ্রহে একজন নভোচারী বড়জোর দশ মিনিট শ্বাস নিতে পারবেন।

নাসা মনে করছে, ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে মানুষের অভিযানের সময় তাদের পুরোটা সময়ের জন্য যে অক্সিজেনের দরকার হবে তা পৃথিবী থেকে বহন করে নেয়ার পরিবর্তে মোক্সি নামের এই যন্ত্রটিরই আরও বড় কোন সংস্করণ সাথে নেয়া যেতে পারে।

মহাকাশে যেতে যে রকেট ব্যবহৃত হয়, সেই রকেট চালানোর জন্যও অক্সিজেন লাগে। অক্সিডাইজারের উপস্থিতিতে জ্বালানি পুড়িয়ে রকেট সামনে অগ্রসর হওয়ার গতি অর্জন করে। ‌এই অক্সিডাইজার হিসেবে সাধারণ অক্সিজেনও ব্যবহার করা যায়।

মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডই বেশি, প্রায় ৯৬ শতাংশ। অক্সিজেন আছে মাত্র শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। অথচ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আছে ২১ শতাংশ অক্সিজেন।

মোক্সি নামের যন্ত্রটি মঙ্গলের কার্বন ডাইঅক্সাইডের অণু থেকে অক্সিজেন বের করতে পারে। কার্বন ডাইঅক্সাইডের প্রতিটি অণুতে থাকে কার্বনের একটি এবং অক্সিজেনের দুটি পরমাণু। আর এই অক্সিজেন বের করে নেয়ার পর যে কার্বন মনোক্সাইড অবশেষ হিসেবে থেকে যায়, তা ছেড়ে দেয়া হয় মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে।

নাসার যে টিম মোক্সি যন্ত্রটি চালাচ্ছে, তারা বিভিন্নভাবে এটি পরীক্ষা করে দেখছে কিভাবে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়। তাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, এটি দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় দশ গ্রাম পর্যন্ত অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে।

নাসার স্পেস টেকনোলজি মিশন ডাইরেক্টরেটের টেকনোলজি বিষয়ক পরিচালক ট্রাডি কোর্টেস বলেন, "মোক্সি যে ভিনগ্রহে অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রথম যন্ত্র কেবল তাই নয়, এটি হচ্ছে এ ধরণের প্রথম প্রযুক্তি যা ভবিষ্যতের অভিযানগুলোকে ভিন্ন কোন গ্রহে সেখানকার পরিবেশের উপাদান ব্যবহার করেই বেঁচে থাকতে সহায়তা করবে।"

নাসা তার ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারটি আজ আবার ওড়ানোর চেষ্টা করবে।

গত সপ্তাহে এই মিনি হেলিকপ্টার মঙ্গলগ্রহে ওড়ার মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করে। ভিন্ন কোন গ্রহে কোন বিদ্যুৎচালিত উড়ন্তযানের এটাই ছিল প্রথম কোন নিয়ন্ত্রিত ফ্লাইট।

দ্বিতীয় ফ্লাইটের সময় এটি মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশ থেকে পাঁচ মিটার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। এটি এসময় কিছু ছবি তুলবে, এরপর যেখান থেকে উড়েছিল, সেই জায়গায় ফিরে মাটিতে নামবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

ঝালকাঠি আজকাল