• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী

ঘরের দেয়ালে নোনা ধরলে যা করবেন

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২০  

অনেক সময় দেখা যায় ঘরের দেয়াল কিংবা বাড়ির বাইরের দেয়ালে নোনা ধরে যায়। দেখতে যতটা খারাপ লাগে তার থেকে বেশি কষ্টই হয়। কেননা একদিকে টাকা নষ্ট, অন্যদিকে সৌন্দর্যও মাটি হলো। 

তবে কয়েকটি উপায়ে এই নোনা দূর করতে পারেন। বিভিন্ন কারণে দেয়ালে নোনা ধরতে পারে। দেয়ালে যে রংই করেন না কেন, তার ওপর হালকা থেকে গাঢ় সাদা রঙের আস্তরণ পড়ে। এই নোনা ধরার ফলে ইট বা পাথরের তৈরি দেয়ালে সাদা সাদা লবণের অধঃক্ষেপ সৃষ্টি হয়। যা দেয়ালের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব নষ্ট করে। 

যেসব কারণে দেয়ালে নোনা ধরে

ভবন নির্মাণে কম পোড়ানো ইট ব্যবহার করলে। 
যে মাটি দিয়ে ইট তৈরি করা হয়, সে মাটিতে লবণের পরিমাণ বেশি।
বাড়ি তৈরির উপকরণ, যেমন- বালি, সিমেন্ট, পানি প্রভৃতির মধ্যে লবণের পরিমাণ ২.৫ শতাংশের বেশি।
সঠিক পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার অভাব।
দেয়ালের মাঝের পানির লাইনে ছিদ্র থাকা।
প্লাস্টার শুকানোর আগেই রং করে ফেলা।
> গাঠনিক ত্রুটি
ঘরের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের অভাব।
> মেঝে এবং ঘরের মাঝের দেয়ালে সঠিকভাবে সিক্ততা স্তর না দেয়া।

লক্ষণ
প্রথম প্রথম দেয়াল ঘেমে যেতে থাকে বা ভেজা ভেজা ভাব চলে আসে। এর কিছুদিন পর দেয়ালে সাদা সাদা আস্তরণ দেখা দেয়। পরবর্তীতে সাদা লবণের ভারি আস্তরণ দেখা দেয় এবং প্লাস্টার ঝরে পড়তে থাকে।

দুটি উপায়ে নোনা দূর করতে পারবেন

প্রথম উপায়
প্রথমত সঠিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে। তাই বাড়ি নির্মাণের আগেই সে স্থানের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। বাড়ির চারপাশে ভালো ড্রেন স্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে, যেন পানি জমে না থাকে। ছাদে সঠিক ঢাল রাখতে হবে, যাতে বৃষ্টির পানি তাড়াতাড়ি বের হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া বৃষ্টির ঝাপটা থেকে রক্ষার জন্য দেয়ালে সানশেডের প্রয়োজন। ইটের পানি ধারণ ক্ষমতা খুবই বেশি। ফলে বৃষ্টির পানি থেকে দেয়ালকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। ইটের গাঁথুনির ফ্লাশ পয়েন্টিং করলে অতিরিক্ত পানি দেয়ালের গায়ে জমা হতে পারে না। অনেক সময় ছিদ্রযুক্ত দেয়াল দিয়েও আর্দ্রতা দূর করা যায়।

দ্বিতীয় উপায়
প্রয়োজনীয় আলো-বাতাস চলাচলের মাধ্যমে নোনা রোধ করা যায়। ঘরের মাঝে সব দেয়ালে সমানভাবে রোদের আলো প্রবেশ করতে পারে না, সেক্ষেত্রে নকশা তৈরির সময়ই যেসব দেয়ালে রোদের আলো কম পড়ে। সেসব দেয়ালে সঠিকভাবে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে বৃষ্টির পানি আর রোদের অভাবে দেয়ালটি স্যাঁতসেঁতে হয়ে নোনা ধরার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই সূর্যতাপ এবং বাতাস চলাচলের উপর নির্ভর করে নির্মাণ করতে হবে ভবন।

ঝালকাঠি আজকাল