এক ভাস্কর্যে চারশ বছরের ঢাকা
মিরপুর শহীদবাগ এমন একটি জায়গা যেখানে গেলেই দেখবেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সব নিদর্শন- আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, জাতীয় জাদুঘর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় সংসদ ভবনসহ নানা স্থাপত্য। ভাবছেন এ কি করে সম্ভব? এটি সম্ভব হয়েছে একটি ভাস্কর্যের কারণে।
জায়গাটি ঢাকা সেনানিবাসের সন্নিকটে। বর্তমানে ‘সাগুফতা’ নামে পরিচিত। কোলাহলমুক্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ভাস্কার্যটির কারণে ইতোমধ্যেই জায়গাটি নগরবাসীর দৃষ্টি কেড়েছে। ভাস্কর্যের নাম ‘শতবর্ষের ঢাকা’। সেখানে ফুটে উঠেছে ঢাকার চারশ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক নির্দশন। শুধু তাই নয়, সময়ের পরিক্রমায় জীবনাচারের পরিবর্তিত রূপও তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। এমনকি আধুনিক প্রযুক্তি কীভাবে আমাদের যান্ত্রিক মানুষে পরিণত করেছে দেখা যাবে তার খোদাই করা ছবি।
সরেজমিনে দেখা যায়, দেয়াল আকৃতির উর্ধ্বমুখী অর্ধ গোলাকার ভাস্কর্যের দুই পাশে খোদাই করে এগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে রয়েছে ঢাকার বিভিন্ন সময়ের যাতায়াত ব্যবস্থার চিত্র। যেমন ঐতিহ্যবাহী ঢাকার চিরপরিচিত বাহন ঘোড়ার গাড়ি, রিকশা প্রভৃতি। মানে এক ভাস্কর্যের ভেতরেই অনেক কিছু। যানজট কিংবা সময় স্বল্পতার কারণে যাদের ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো দেখার ফুরসত মেলে না, তারা এই ভাস্কর্যের মাধ্যমেই সেগুলোর ধারণা পাবেন।
ঢাকা বাংলাদেশের প্রাণ। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে চারশ বছরের পুরনো এই শহরটি আরো দ্রুতগতিতে প্রসার লাভ করেছে। অনেকেই ঢাকাকে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য যেকোনো কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, ঢাকা নগরী বিশ্বের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। শহরটিতে অসামান্য সুন্দর কিছু শৈল্পিক নিদর্শন রয়েছে। আছে এর ঐশ্বর্যমণ্ডিত ইতিহাস। এই শহরটি প্রতিষ্ঠা পাবার প্রায় শুরু থেকেই বঙ্গের রাজধানী ছিল। শহরের অনেক অলি-গলিতে এখনো অনেক নিদর্শন চোখে পড়ে।
‘পুরান ঢাকা’ নামে পরিচিত ঢাকার পুরোনো একটি স্থান যা অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দির ঐতিহ্য এবং নিদর্শন বহন করছে। লালবাগ কেল্লা যথারীতি পুরান ঢাকায় অবস্থিত। সপ্তদশ শতাব্দিতে বাংলার সুবেদার মুহাম্মদ আজম শাহ্ এটি নির্মাণ করেছিলেন। তিনশ বছরেরও বেশি সময় পার করে আজও এটি স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। সেটিও স্থান করে নিয়েছে এই ভাস্কর্যে। মাতৃভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন তাদের সম্মানার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নির্মাণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় সংসদ ভবন শহরের অনিন্দ্য সুন্দর একটি দর্শনীয় স্থান- সেটিও শোভা পাচ্ছে ভাস্কর্যে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকার সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে ২০০৬ সালের ১৮ জুন ভাস্কর্যটি তৈরির কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (১৬ ইসিবি)। কাজ শেষ হয় ২০১২ সালে। স্থাপনার কাছেই দেখা মেলে পাথরে খোদাই করা এক সাইনবোর্ড। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সড়কের সৌন্দর্য বর্ধন ও ঢাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতেই ‘শতবর্ষের ঢাকা’ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে ভাস্কর্যটি। এক মুহূর্তে ঢাকা দর্শনের পাশাপাশি ভাস্কর্যটির চারপাশের দৃশ্যও মনোরম। ব্যাংকার ফাহিম সিদ্দীক জানালেন, চারশ বছর ধরে ঢাকা শুধু এক জায়গায় থেমে নেই। বদলে গেছে নগর ঢাকা, বদলে গেছে তার নাগরিক জীবনধারা। মোটকথা, অসংখ্য ঐতিহ্যের সম্মিলন ঘটেছে ইট-পাথর আর সিমেন্টের তৈরি ওই নির্দশনে। তিনি আরো বলেন, আমি অভিভূত একপলকে ঢাকার পুরো স্থাপনা, ঐতিহ্য ও জীবনধারার পরিচয় পেয়ে। শুধু ফাহিম নন, অনেকেই আসেন পরিবার নিয়ে শহীদবাগ চত্বরে। বাড্ডা থেকে আসা দর্শনার্থী আবু তালেব বলেন, আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি ভাস্কর্যটির কথা। এদিকে কাজে এসেছিলাম। দেখে গেলাম। যাঁরা এটি তৈরি করেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যাঁরা ঢাকার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা এখনও দেখেননি, তারা এখান থেকে ধারণা পাবেন।
ভাস্কর্যের পাশেই ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে ডাব বিক্রি করছিলেন বরিশালের আনিসুর রহমান। তার ভাষ্যমতে, বিকেল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে এলাকার সৌন্দর্যও বেড়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন স্থানীয় প্রবীন সাকের চৌধুরী। তিনি বলেন, এই নানন্দিক স্থাপনাটির পরিচর্যা দরকার। প্রয়োজনে এটি দেখভাল করার জন্য সার্বক্ষণিক কাউকে নিয়োজিত রাখতে হবে। না হলে এর সৌন্দর্যহানি ঘটবে।
ঝালকাঠি আজকাল- গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়লে দ্রুত যা করবেন
- বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো?
- তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
- ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে জাল ও ছাগল বিতরণ
- দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নেত্রী
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা প্রতিবাদে ভোলায় ছাত্রলীগের কর্মসূচি
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য সর্বজনীন পেনশন মেলা
- বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে তুর্কি জাহাজ
- মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বে শামসুল হক ফাউন্ডেশন
- আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- প্রত্নসম্পদ বেহাত হওয়া ঠেকাতে নতুন আইন
- ইপিজেড পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল, আসবে দেড়শ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ!
- নির্বাচনে সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না: বরিশালের এসপি
- চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাইটার জেটি, বাড়ছে সক্ষমতা
- ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই খুন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
- হাওড়-দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ৭০ শতাংশ ভর্তুকি, অন্যরা ৫০
- গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৭৬.২৫ পেয়ে প্রথম লামিয়া
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- গরমে গাড়ির টায়ারের জন্য কোন বাতাস উপকারী?
- প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ
- অনলাইনে ছবি শেয়ার করাও বিপজ্জনক হতে পারে
- বে টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু ডিসেম্বরে
- শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগে দেশীয় পণ্য আজ বিদেশে সমাদৃত: আমির হোসেন আমু
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- গরমে বাড়ে যেসব চর্মরোগ
- প্রিজন সেলে হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
- ঝালকাঠিতে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা
- ঝালকাঠিতে শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা
- হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না?
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের প্রথম সাক্ষী হলো মেক্সিকো
- গরমে সতেজ থাকার কৌশল
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে