• মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: ‘গ্রিন বেল্ট’-এ পাখির কলরব, খালে দাপাচ্ছে তারেকসহ পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে কোরবানির পশু বেচাকেনা এবং ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার নির্দেশ গ্লোবাল ফান্ড, স্টপ টিবি পার্টনারশিপ শেখ হাসিনাকে বিশ্বনেতৃবৃন্দের জোটে চায় শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিতে সকল খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করতে হবে শিশুশ্রম নিরসনে প্রত্যেককে আরো সচেতন হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়িদের প্রতি নিয়ম নীতি মেনে কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান বিনামূল্যে সরকারি বাড়ি গৃহহীনদের আত্মমর্যাদা এনে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীকে বদলে যাওয়া জীবনের গল্প শোনালেন সুবিধাভাগীরা

সশস্ত্র বাহিনীতে পণ্য সরবরাহের কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২  

পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী চাল, ডাল সরবরাহের কথা বলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ্য নিতেন। অগ্রিম দিতেন পঞ্চাশ শতাংশ টাকা। এভাবে প্রথমে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস অর্জন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পরই আটকে দেন টাকা। এভাবে অন্তত ৫০টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অ্যাসেট গ্রুপ নামের কথিত প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তৌহিদ আনোয়ারকে। পুলিশ বলছে, খোলা বাজারে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে দিতেন এমডি।

রোববার (২২ মে) মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে অনেক ভুক্তভোগী এসেছেন আইনি প্রতিকার পেতে। কারও এক কোটি, কারও পাঁচ কোটি আবার ১০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও অ্যাসেট গ্রুপ নামের কথিত এ প্রতিষ্ঠান।

ভুক্তভোগী সবাই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী। অ্যাসেট গ্রুপে তারা চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সরবরাহ করতেন। পুলিশ, আনসার ও সশস্ত্র বাহিনীতে অ্যাসেট গ্রুপ তালিকাভুক্ত একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর ডিস্ট্রিবিউটর বা ঠিকাদার এমনটিই জানতেন তারা।

প্রথম কয়েক কিস্তির ৫০ শতাংশ টাকা নগদ পরিশোধ করলেও আটকে দেয়া হয় বাকি টাকা। উপায় না দেখে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এরপর মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সত্যতা পায় গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদ আনোয়ারকে। পুলিশ বলছে, অন্তত ৫০টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তৌহিদ।

পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য সরকারি বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিজের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিতেন তিনি। পুলিশ কিংবা সশস্ত্রবাহিনীতে পণ্যসামগ্রী সরবরাহের পুরো বিষয়টিই ভুয়া।

ঢাকা মহানগর গোয়ান্দা পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক জানান, মালগুলো সে খোলা বাজারে বিক্রি করে। এক কোম্পানি থেকে জিনিস নেয়ার ক্ষেত্রে আগে রেফারেন্স ব্যবহার করে, এরপর জিনিস নেয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রকম কর্মকর্তাদের সে নিয়োগ দেয় আকৃষ্ট করার জন্য। তারা সুন্দর ইংরেজিতে কথা বলে মানুষদের আকৃষ্ট করে।

কথিত এই প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

 

ঝালকাঠি আজকাল