• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

১০ লাখ গাছ লাগাবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে ১০ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন এলাকা বা অবস্থানভিত্তিক সবুজায়নের আলাদা মডেলও তৈরি করেছে মন্ত্রণালয়টি। ১১ থেকে ১৪ এবং ২৭ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দুই পর্যায়ে এসব বৃক্ষ রোপণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে সোমবার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী।

এ বিষয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম রবিবার বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা সারাদেশে গাছ লাগানোর এই উদ্যোগ নিয়েছি। কর্মসুচি সফলে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো: এহতেশাম রেজা স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহে বৃক্ষরোপন কর্মসুচি তদারিক করার জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরকে জেলাভিত্তিক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। কর্মকর্তারা নির্ধারিত সময়ে তাদের সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহে বৃক্ষরোপন কর্মসুচি তদারকি করে প্রতিবেদন প্রদান করবেন।

এদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক গাছ লাগানোর আলাদা মডেল তৈরি করা হয়েছে। কোন এলাকায় কোন কোন প্রজাতির কতটি গাজ লাগাতে হবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

সূত্র মতে, বাপাউবোর সি-ডাইকের উভয় ঢাল ও অফশোরে সবুজায়ন যোগ্য গাছের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে-নারিকেল, কেওড়া, কাকড়া, গেওয়া, ঝাউ ইত্যাদি। বাপাউবোর বিভিন্ন রেগুলেটর সাইটে সবুজায়নযোগ্য গাছের প্রজাতি হচ্ছে-আম, কাঠাল, জাম, কদম, বকুল, পলাশ, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, সোনালু, কৃষ্ণচুড়া, মান্দার ইত্যাদি। বাপাউবোর সেঁচ ও নিষ্কাশন খালের উভয় পাড়ে সবুজায়নযোগ্য গাছের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে-তাল, নারিকেল, সুপারি ও খেজুর।
বাপাউবোর কলোনীতে সবুজায়নযোগ্য গাছের মধ্যে রয়েছে- আম, কাঠাল, দেশি পেয়ারা, দেশি বরই, আমড়া, আমলকি, নারিকেল, কদম, বকুল, পলাশ, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, দেবদারু, সোনালু ইত্যাদি। বাপাউবোর আওতাধীন জমিতে যেসব গাছ লাগানো হবে তা হচ্ছে- জারুল, বাবলা, হিজল, শিশু ও জাম। এছাড়া উপকূলীয় বাঁদের ওপর এবং ডুবন্ত বাঁধের উভয়দিকে টো লাইনের সবুজায়ন যোগ্য বিভিন্ন গাছ লাগানো হবে।

উল্লেখ্য, দেশের ভু-প্রকৃতির অবস্থা, পরিবেশ প্রতিবেশের বৈশিষ্ট অনুযায়ী বন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রোপনের জন্য এসব গাছ বাছাই করা হয়। এক্ষেত্রে পাখিদের আহার ও বাসস্থানের উপযোগিতা, ছায়াদানকারী ক্যানোপি সৃষ্টি, লবণাক্ত পানির সহিষ্ণুতা, হাওর অঞ্চলের উপযোগিতার বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

এদিকে রবিবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুর ১২ টায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সারাদেশে ১০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এতে উপস্থিত থাকবেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক,এমপি; পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, এমপি এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।

ঝালকাঠি আজকাল