• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় মর্জিনা আক্তার নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে স্বামী ছমির উদ্দিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ছমির উদ্দিন পাকুন্দিয়া উপজেলার সৈয়দগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত ইজ্জাত আলীর ছেলে। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার সৈয়দগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের ছমির উদ্দিনের সঙ্গে সৈয়দগাঁও গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে মর্জিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর মর্জিনা চাকরির উদ্দেশে লেবানন চলে যান। সেখান থেকে প্রতি মাসে স্বামীর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। কিন্তু ছমির সেই টাকা বেহিসাবি খরচ করতো। বিষয়টি টের পেয়ে মর্জিনা টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেন। ২০১৭ সালের ১২ জুলাই মর্জিনা ছুটি নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এর দু’দিন পর সকালে মর্জিনা প্রতিবেশির বাড়িতে গেলে সেখানে ছমির তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কিছুক্ষণ পর মর্জিনা তার বাবার বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় ছমির এসে ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এ অবস্থায় তাকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর ছমির হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ পাকুন্দিয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

এ ঘটনায় নিহত মর্জিনার বাবা নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে ছমিরকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছমির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মোল্লা তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন বিচারক। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার ঘোষ ও আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জেসমিন আরা রোজী। 

ঝালকাঠি আজকাল