• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার ও গর্বের প্রতীক- রাষ্ট্রপতি

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০  

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার ও গর্বের প্রতীক। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে-কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।”

আজ শনিবার মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির ভাষণে এ কথা বলেন।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, শৃঙ্খলা, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাঁদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।”

“এ কর্মপরিকল্পনা সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। যে-কোনো বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা।

মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আপনারা জানেন, ২০২০ ও ২০২১ সাল আমাদের জাতীয় জীবনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করেছেন। ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালিত হবে।

“ইউনেস্কোও বাংলাদেশের সাথে মুজিববর্ষ পালন করবে। এটি অত্যন্ত গৌরবের। মুজিববর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ বিশেষত তরুণ সমাজ আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম অবদান ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।”

তিনি আরও বলেনর, “মুজিববর্ষ সহ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সাড়ম্বরে উদযাপনের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সশস্ত্র বাহিনীর সকল ইউনিট এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”

আবদুল হামিদ বলেন, “আমাদের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ঘোষিত রুপকল্প ২০২১ ও রুপকল্প ২০৪১ এর আলোকে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ায় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এনডিসি কমাডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধানসহ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তা এবং এনডিসি বিভিন্ন কোর্সের অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠি আজকাল